ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৭ জুলাই ২০২৫

কৃষিপণ্যের আন্তর্জাতিকমানের পরীক্ষাগার হবে পূর্বাচলে

প্রকাশিত : ১৭:৫৫, ২৮ জুন ২০১৯ | আপডেট: ১৮:০২, ২৮ জুন ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি করতে মাননিয়ন্ত্রণে রাজধানীর পূর্বাচল এলাকায় আন্তর্জাতিকমানের একটি গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। এখান থেকে ফসল রপ্তানিসহ মাননিয়ন্ত্রণ ও সার্টিফিকেট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

শুক্রবার (২৮ জুন) রাজধানীর ফার্মগেটে অবস্থিত কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে আয়োজিত বীজ মেলা-২০১৯ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন আয়োজিত ‘বীজ মেলা-২০১৯’ শুক্রবার থেকে রোববার (৩০ জুন) পর্যন্ত চলবে। তিন দিনব্যাপী মেলাটি সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় সরকারি বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি বেসরকারি বিভিন্ন বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠা অংশ নিয়েছে। যেখানে পাওয়া যাচ্ছে উন্নতমানের সব বীজ।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী এরইমধ্যে রাজধানীর পূর্বাচলে ২ একর জমি দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। যেখানে একটি আন্তর্জাতিকমানের পরীক্ষাগার থাকবে। সেখানে কৃষকদের আবাদকৃত ফসল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেশের বাইরে পাঠানো হবে। এক্ষেত্রে কৃষক ন্যায্য দাম পাবে। তাছাড়া এখান থেকে কৃষকদের সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। তাছাড়া প্রশাসনকে লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে এক্ষেত্রে কেউ ভেজাল না দিতে পারে। এখানে শাক-সবজির প্রস্তুতকেন্দ্রও থাকবে। প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা এখানে সরাসরি না এলেও বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আসবে। সঙ্গে অন্যান্য সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতি, অর্থনীতিসহ সবকিছু আবর্তিত হয় কৃষিকে কেন্দ্র করে। এখনও দেশের ৬০ থেকে ৭০ ভাগ লোক গ্রামে থাকে যাদের প্রধান কাজ কৃষি এবং ৪০ থেকে ৪২ ভাগ লোকের উপার্জন হয় কৃষি থেকে। কৃষির উন্নয়ন ঘটাতে পারলে এই কাজও ভবিষ্যতে মূল পেশা হিসেবে থাকবে। আর এ উন্নয়নে বীজ একটি মুখ্য উপাদান। মানসম্মত বীজ দিতে আমাদের সব গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে বা নতুন উচ্চউৎপাদনশীল বীজ উদ্ভাবন করছে। যা ন্যায্যমূল্যে কৃষকদের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থাও হচ্ছে।

উৎপাদন বৃদ্ধির সফলতা থাকলেও কৃষকদের ন্যায্যমূল্য দেওয়ার সফলতা এখনও আসেনি উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এবার ধানের উৎপাদন বেড়েছে কিন্তু কৃষকরা সঠিক মূল্য পায়নি। বর্তমানে অনেক শিক্ষিত যুবকও কৃষি কাজ করতে যাচ্ছে। কিন্তু এভাবে দাম না পেলে কৃষি কাজ থেকে সরে দাঁড়াবে নতুন উৎসাহীরা। এতে এ খাত ধ্বংসের মুখে পড়বে। বাংলাদেশ কৃষিখাতের মতো চরম সম্ভাবনাময় দিককে ধরে রাখতে নতুনদেরকে জানাতে এ বীজ মেলার আয়োজন করা হয়। কৃষকরাও নতুন বীজ সম্পর্কে জানতে পারছে। এতে উৎপাদনের খরচ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী বোরো মৌসুমে এবারের মতো কোনো সমস্যা থাকবে না। তাছাড়া আমাদের আর আগের মতো বীজ বাইরে থেকে আনতে হয় না। কয়েকটা ফসলের বীজ শুধুমাত্র বাইরে থেকে আনতে হয়। আশা করছি ভবিষ্যতে আমরা বীজ দেশের বাইরে রপ্তানি করতে পারবো।

আরকে/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি