ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০২ অক্টোবর ২০২৫

খাগড়াছড়িতে হত্যা-সহিংসতায় ৩ মামলা, আসামি হাজারের বেশি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৪১, ২ অক্টোবর ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারা উপজেলায় সহিংসতার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে হত্যাসহ তিনটি মামলা দায়ের করেছে। এসব মামলায় হাজারেরও বেশি অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকাল থেকে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে। খাগড়াছড়ির সব সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে, দোকানপাটও খোলা রয়েছে। 

মামলাগুলোতে হত্যা, ভাঙচুর, পুলিশের ওপর হামলা ও ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে দাঙ্গা সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছে। 

খাগড়াছড়ি সদর থানায় দায়েরকৃত মামলায় ৬০০ থেকে ৭০০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। অপরদিকে গুইমারা থানায় দায়ের হওয়া দুটি মামলায় হত্যা ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে অজ্ঞাত ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলার বাদী সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) শাহরিয়ার। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অন্যদিকে, গুইমারা থানায় হত্যাকাণ্ড ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গুইমারা থানার এসআই সোহেল রানা বাদী হয়ে মামলা করেন।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল জানান, গুইমারায় নিহতদের পরিবার থেকে কেউ মামলা দায়ের করেনি। এছাড়া গুইমারা ও খাগড়াছড়িতে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ বা মামলা দায়ের করেনি। ফলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা তিনটি রুজু করে। 

গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী জানান, বর্তমানে উপজেলায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

এদিকে শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে আটক শয়ন শীলকে ৬ দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়। খাগড়াছড়ি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে এক মারমা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে জুম্ম ছাত্র-জনতা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। এরপর থেকেই খাগড়াছড়িতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে পরবর্তী সময়ে তিন সদস্যের চিকিৎসক দল কিশোরীর শরীরে ধর্ষণের কোনো আলামত পায়নি।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি