চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ছে না বাড়ছে হয়রানি
প্রকাশিত : ১৮:৪৬, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | আপডেট: ১৮:৪৬, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
নানা প্রচেষ্টা সত্ত্বেও সক্ষমতা বাড়ানো যাচ্ছে না চট্টগ্রাম বন্দরের। উল্টো বাড়ছে হয়রানি। এ জন্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থার সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বন্দর কার্যক্রমে গতিশীলতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে তারা। সেই সাথে পণ্য খালাসে বিদ্যমান পদ্ধতির পরিবর্তনের দাবী তুলেছেন । চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে দু’ পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ থাকছে প্রথম পর্ব।
গত কয়েক দশকে চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরে বেড়েই চলেছে আমাদানী-রফতানী বাণিজ্য। কিন্তু বন্দরের ১৩টি কন্টেইনার জেটির মধ্যে ১০টিতে জাহাজ ভেড়ানো গেলেও ৩টি জেটি খালি থাকছে প্রায়শ’। আবার ৬টি সাধারণ জেটি’র মধ্যে ২টিতে দেখা দিয়েছে নাব্য সংকট। দ্রুততার সাথে কন্টেইনার খালসের জন্যে নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ করা হলেও টার্মিনাল পরিচালনার জটিলতার কারনে পুরো পুরি সচল করা যায়নি সেটিও। অথচ প্রতিবছরই বাড়ছে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং । ফলে সৃষ্টি হচ্ছে কন্টেইনার জট। আর এসব কারনে বাড়ছে পণ্য বাহী জাহাজের গড় অবস্থানও।
বন্দর কার্যক্রমে গতিশীলতা বাড়াতে রাস্তাঘাট নির্মাণ, রেল কানেকটিভিটি বৃদ্ধি, নতুন নতুন জেটি নির্মানসহ বন্দর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মানের তাগিত দিয়েছে ব্যবসায়ীরা ।
বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়হীনতার কারনে হয়রানিতে পড়ছেন অনেকেই। এ জন্যে বন্দর থেকে দ্রুত কন্টেইনার খালাসসহ বন্দর কার্যক্রমে গতিশীলতা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এই শিল্পপতি।
এদিকে বন্দরে সক্ষমতা বাড়াতে বিদ্যমান পদ্ধতির পরিবর্তনের দাবী তুলেছেন বন্দরের এই কর্মকর্তা।
দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে সরকার দ্রুত উদ্যোগ নেবে এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
আরও পড়ুন