ঢাকা, শনিবার   ১২ জুলাই ২০২৫

জলাধার বাড়ানোর তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৩৬, ১ অক্টোবর ২০২০

Ekushey Television Ltd.

নদী আমাদের প্রাণ, নদী আমাদের জীবন। একথা আবারো স্মরণ করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানান, তাই পানি সম্পদ রক্ষায় সর্বচ্চ প্রচেষ্টা করছে সরকার। পানি ভবনসহ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে রাখা বক্তব্যে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। তাগিদ দেন, ভূগর্ভস্থ পানির ব্যাবহার কমিয়ে ভূতলের পানি ব্যাবহারের। সরকার ব্যাবসা বাণিজ্যের দিকে দৃষ্টি রেখেই পর্যটন, বিমানসহ সকল খাতের উন্নয়ন করছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশ নদী মাতৃক দেশ, সেইসাথে বৃহত্তর বদ্বীপ হওয়ায় পানি সম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম। এই বিবেচনায় পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনাকে সমন্বীত রূপ দিতে রাজধানীর গ্রীনরোডে নির্মিত হলো পানি ভবন। ৩৫ হাজার বর্গফুটের এ ভবনে রয়েছে অত্যাধুনিক সব যন্ত্রপাতি। যার মাধ্যমে পাওয়া যাবে দেশের ৫১২টি পানি সম্পদ দপ্তরের সব রকম তথ্য।

গনভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে  এ ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, পানির যথেচ্ছ ব্যাবহার কমাতে ১৯৯৯ সালে নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। ভূগর্ভস্থ পানির ব্যাবহার কামানোর তাগিদ দেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য যে আমাদের দেশের মানুষকে সুপিয় পানি দিতে হবে। কিন্তু আমাদের ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহার করতে হবে। আমাদের সেচের পানি বা ব্যবহারে পানি যেনো ভূ-গর্ভস্থ পানির পরিবর্তে আমরা ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহার করতে পারি সেদিকে আমরা বিশেষ দৃষ্টি দেই।’

নদী বাঁচলে কম পণ্য পরিবহন খরচ কম হবে, সেইসাথে নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠতে পারে পর্যটন শিল্প। তাই নতুন স্থাপনা নির্মাণে জলাধার সংরক্ষন করার বিধি-বিধান স্মরণ করিয়ে দেন সরকার প্রধান।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশটাই হচ্ছে নদীমাতৃক দেশ। সেই নদী হচ্ছে জীবন। নদী হচ্ছে প্রাণ। এই নদী, সাগর সবই আমাদের পর্যটনের জন্য উপযোগি। এটাকে কাজে লাগাতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি নির্দেশ দিয়েছি যেখানেই যে প্রতিষ্ঠান করা হোক প্রাকৃতিক ভারসম্য রক্ষা করতে হবে, প্রকৃতিকে রক্ষা করতে হবে। আর জলাধার রক্ষা করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে বক্স কালভার্ট সব চেয়ে আত্মঘাতি।’

দেশের উন্নয়ন হলে প্রাচ্য-পাশ্চত্যে সেতুবন্ধন হবে বাংলাদেশ। সে লক্ষ্যে আঞ্চলিক বিমান বন্দরগুলোকে আধুনিক করা হচ্ছে বলে জানান শেখ হাসিনা।

সরকার প্রধান বলেন, ‘আমরা ভৌগলিক অবস্থানে আন্তর্জাতি এয়ার রুটের ভেতরে আছি। সেখানে আমাদের অনেক সম্ভাবনা আছে। আর সেই সম্ভবনা যদি আমরা কাজে লাগতে পারি তবে একদিকে পর্যটন শিল্পী অন্যদিকে এই এয়ারলাইন্সই আমাদের অনেক টাকা উপার্জন করে দিতে পারে।’

এ ছাড়া, ভিডিও কনফারেন্সে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্মুখে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল এবং ভেতরে বঙ্গবন্ধু কর্নার, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের নবনির্মিত প্রধান কার্যালয় পর্যটন ভবন এবং সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারন প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের নির্মানকাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এসএ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি