ঢাকা, শনিবার   ১৯ জুলাই ২০২৫

জাপানের ‘হারিয়ে’ যাওয়া দ্বীপটি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৪১, ৩ নভেম্বর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

অনেকদিন ধরেই কেউ খেয়াল করেনি এই দ্বীপের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি। এ বছরের হেমন্তকালটি জাপানের জন্য খুবই অদ্ভুত। কিছুদিন আগেই টাইফুনের কারণে বিভ্রান্ত হয়ে যায় সে দেশের চেরি গাছগুলো এবং সময়ের আগেই ফুলে ফুলে ছেয়ে যায়। আর এখন জানা যাচ্ছে,আস্ত একটা দ্বীপ হারিয়ে গেছে সে দেশের উপকূল থেকেই, আর তা কারও চোখেও পড়েনি অনেকটা সময় ধরে।

দ্বীপটির নাম ছিল ইসানবে হানাকিতা কোজিমা। এই দ্বীপ এবং এর মতোই আরও ১৫৮টি জনশূন্য দ্বীপের নামকরণ করে রাখা হয় ২০১৪ সালে। যাতে অন্য কোনো দেশ এর মালিকানা দাবি করতে না পারে। মূলত,ওই দ্বীপের পাশ দিয়েই একসারি দ্বীপ আছে যাদেরকে কুরিল বলা হয়। কুরিল দ্বীপগুলো নিয়ে কয়েক শতক ধরেই রাশিয়া ও জাপানের মাঝে দ্বন্দ্ব রয়েছে।

অদ্ভুত হলেও সত্যি, অনেকদিন ধরেই কেউ খেয়াল করেনি এ দ্বীপের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি। হিরোশি শিমিজু নামের এক লেখক ওই এলাকায় আসেন জাপানের প্রত্যন্ত দ্বীপগুলো নিয়ে কাজ করতে। কিন্তু ইসানবে হানাকিতা কোজিমা দ্বীপটিকে খুঁজে না পেয়ে তিনি আঞ্চলিক জেলেদের সাহায্য নেন। তারা নৌকা নামিয়েও ওই দ্বীপ খুঁজে পান না।

জাপানের হোক্কাইডোর সারুফুতসু গ্রাম থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে অবস্থিত ইসানবে হানাকিতা কোজিমা দ্বীপটি প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এখানে কোনো দ্বীপ ছিল তার একমাত্র প্রমাণ হিসেবে ভেসে রয়েছে কিছু পাথর। হারিয়ে যাওয়া দ্বীপটিকে এখনো মনে রেখেছে ওই এলাকার কিছু বৃদ্ধ জেলে।তারা জানান, আসলেই ওই জায়গায় দ্বীপটি ছিল। পাথুরে দ্বীপ হওয়ায় তারা ওই এলাকা থেকে নৌকা দূরে রাখতেন।

কিন্তু কী করে এই দ্বীপ হারিয়ে গেলো?

একটি দ্বীপ হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা নতুন নয়। গত মাসেই হাওয়াইয়ের একটি দ্বীপ হ্যারিকেনের তোড়ে হারিয়ে যায়। গত ৫০ বছরের মধ্যে পরিবেশ পরিবর্তনের ফলে সলোমন দ্বীপপুঞ্জ থেকে হারিয়ে গেছে ৫টি দ্বীপ, মাইক্রোনেশিয়ার ৮টি দ্বীপ তলিয়ে গেছে। জাপানের এই দ্বীপটির ক্ষেত্রে কী হয়েছিল? বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ঢেউ এবং ভেসে আসা বরফের কারণে ক্ষয়ে গেছে ইসানবে হানাকিতা কোজিমা দ্বীপটি।

সূত্র: আইএফএলসায়েন্স।

কেআই/ এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি