ছাত্রদল প্রার্থীদের অভিযোগ
‘জামায়াতের প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা ব্যালট দিয়ে কারচুপির পাঁয়তারা চলছে’
প্রকাশিত : ১৫:৩৪, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৫:৪০, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাহাঙ্গীরনগর কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর কোম্পানি থেকে নেওয়া ব্যালট ব্যবহার করে কারচুপির পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদলের প্যানেলের প্রার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় মওলানা ভাসানী হলে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী শেখ সাদী হাসান বলেন, নির্বাচন কমিশন জামায়াতে ইসলামীর কোনো এক অখ্যাত কোম্পানি থেকে ক্রয় প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে ব্যালট পেপার ও ওএমআর মেশিন সরবরাহ করে। ছাত্রশিবিরকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে ভোট গণনায় কারচুপির বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে নির্বাচন কমিশন তাৎক্ষণিকভাবে ওএমআর মেশিনে ভোট গণনার পরিবর্তে ম্যানুয়ালি ভোট গণনার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে, কিন্তু একই কোম্পানির ব্যালটপেপার দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ছাত্রশিবির তাদের কোম্পানি থেকে আলাদা করে ব্যালট পেপার সংগ্রহ করে কারচুপির মাধ্যমে জয়ী হওয়ার জন্য নীলনকশা করছে বলে আমরা মনে করছি। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানালে ও নতুন ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের দাবি জানালে নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবি না মেনে জামায়াতে ইসলামীর কোম্পানির ব্যালট দিয়েই ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। এইরকম পক্ষপাতমূলক আচরণের জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনের প্রতি তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করছি। তারপরও আমরা আশা রাখছি নির্বাচন কমিশন তাদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখবে ও ছাত্রশিবিরের নীলনকশা বাস্তবায়নে অপচেষ্টা চালাবে না।’
শেখ সাদী হাসান বলেন, ‘আমরা শুনতে পাচ্ছি জামায়াত-শিবিরের অনেক নেতাকর্মী ক্যাম্পাসের আশেপাশে অবস্থান করছে। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত।’
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে জাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ, চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
জাকসু নির্বাচনে ২৫ পদে ১৭৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে নয়জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ছয়জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এসএস//
আরও পড়ুন