নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ
প্রকাশিত : ১৮:১৮, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৮:২১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
দিল্লির চানক্যপুরীতে অবস্থিত বাংলাদেশের হাইকমিশন অভিমুখে বিক্ষোভ করেছে কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী দল। এসময় ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন সমর্থকরা।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) ও বাজরং দলসহ হিন্দু সংগঠনগুলো বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগে বিচার দাবি করছে।
এসময় পতাকা ও পোস্টার হাতে নানা স্লোগান দিতে থাকেন সংগঠনগুলোর সমর্থকরা। ‘বাংলাদেশ মুর্দাবাদ’ স্লোগান দিতে দিতে কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু এ খবর জানিয়েছে।
তবে বিক্ষোভকারীদের হাইকমিশন ভবন থেকে ৫০০ মিটার দূরে আটকে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী কয়েক স্তরের ব্যারিকেড, পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
বিক্ষোভ সামনে রেখে সকাল থেকেই নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রাঙ্গণ ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। তারপরও ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন সমর্থকরা।
বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে কয়েক দিন ধরে ভারতে বিক্ষোভ চলছে। বিশেষ করে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গত ১৮ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের ভালুকায় পোশাক কারখানার শ্রমিক দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যার পর তার মরদেহ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার পর হিন্দুত্ববাদীরা বিক্ষোভ শুরু করে।
প্রতিবেশী দেশের এ ধরনের হিংসাত্মক ঘটনায় হিন্দুদের নিরাপত্তাহীনতার বিরুদ্ধে রোষ প্রকাশ করে প্রতিবাদে অংশ নেয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো।
হাইকমিশনের সামনে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড উঁচু করে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দেয় বিক্ষোভকারীরা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুরো এলাকা তিন স্তরের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রচুর পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়। তারপরও বিক্ষোভকারীরা কয়েকটি ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছিল পুলিশ।
এর আগে গতকাল ২২ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের ভিসা আবেদন কেন্দ্রের সামনেও সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ যৌথভাবে বিক্ষোভ করে।
অবশ্য দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে সব ধরনের কনস্যুলার সেবা ও ভিসা প্রদান স্থগিত ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এসব সেবা বন্ধ রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এএইচ
আরও পড়ুন










