‘নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই’
প্রকাশিত : ১৩:০৫, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বড় রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ না করা হতাশাব্যঞ্জক। তবে সার্বিকভাবে অংশগ্রহণমূলক না হলেও, আমি বিশ্বাস করি এ নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হবে। কারণ এই স্থানীয় নির্বাচনে দলের মধ্যে অথবা বাইরে অনেক যোগ্য লোক থাকেন, যারা নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করেন। নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হবে এর মধ্যে কোনো সন্দেহ নেই।’
তিনি আজ রোববার সকালে আগারগাঁও ইটিআই ভবনে উপজেলা নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
এ সময় কর্মকর্তাদের সতর্ক করে সিইসি বলেন, ‘আপনাদের কোনো আচরণের কারণে যদি নির্বাচন ব্যাহত হয়, বিঘ্নিত হয়, সেটা কিন্তু আমরা কঠোরভাবে দমন করব। আপনারা কেবল আইন কানুনের ভিত্তিতে নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করবেন। আপনাদের কোনো দল নেই, মত নেই, রাজনৈতিক দলকে কোনো পরামর্শ দেয়ার সুযোগ নেই। সাংবিধানিক, আইন কানুনের যতটুকু দায়িত্ব আছে তার বাইরে আর কোনো চাওয়া নেই।’
তিনি বলেন, ‘অনেকগুলো বড় রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। এটা আমাদের জন্য অবশ্যই একটা হতাশাব্যঞ্জক খবর। আমরা সবসময় চেয়েছি, নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক, অংশগ্রহণমূলক এবং সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।’
নুরুল হুদা বলেন, ‘নির্বাচনে প্রার্থীর পোলিং এজেন্টরা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের আশ্বস্ত করবেন যে তারা কেন্দ্রে দায়িত্বপালনের পর রেজাল্ট সিট নিয়ে নিরাপদে ফিরে যেতে পারবেন। তারা যাতে নিরাপদে কেন্দ্রে আসতে পারেন; সে ব্যবস্থা করবেন। তবে এজেন্ট দেবে প্রার্থী। অনেক সময় অনেক দুর্বল প্রার্থী এজেন্ট দিতেও পারে না। আপনাদের কাজ হলো এজেন্ট দিলে তাদের নিরাপত্তা দেয়া।’
তিনি বলেন, ‘অনেক সময় অনেকে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে থাকেন জেনে বা না জেনে। অনেক সময় দেখা যায় রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীর জানার বাইরে অথবা তার সম্মতির বাইরে উৎসাহী লোক বা কোনো সমর্থক এগুলো করে থাকেন। এগুলোর ব্যাপারেও আপনাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে।’
এসএ/
আরও পড়ুন