বাবা-মায়ের কবরের পাশে শায়িত মেজর জিয়াউদ্দিন
প্রকাশিত : ২৩:১৬, ১ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ২৩:১৬, ১ আগস্ট ২০১৭

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সাক্ষী, মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিন আহমেদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পিরোজপুর শহরের তার বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে শায়িত করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে জিয়াউদ্দিনের প্রতিষ্ঠিত আফতাব উদ্দিন মহাবিদ্যালয়ে তার লাশ নেওয়া হলে সেখানে ছাত্র-শিক্ষকরা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। এরপর তার মরদেহ নেওয়া হয় শহরের শহীদ মিনারে। সেখানে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এরপর দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের একটি চৌকস দল লাশ গ্রহণ করে দাফন সম্পন্ন করেন। এর আগে সোমবার বিকালে পিরোজপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জিয়াউদ্দিনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
দাফন শেষে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইনুর রহমানের নেতৃত্বে গানসেলুটের মাধ্যমে মেজর জিয়াউদ্দিনকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
সুন্দরবন অঞ্চলের ‘মুকুটহীন সম্রাট’ নামে খ্যাত জিয়াউদ্দিন আহমেদ পিরোজপুর শহরের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী জিয়াউদ্দিন আহমেদ ১৯৬৯ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন এবং সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পদে যোগদান করেন। তিনি ১৯৭১ সালে সেনাবাহিনীর মেজর হিসেবে পশ্চিম পাকিস্তানে কর্মরত ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে জুলাই মাসে পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে যোগ দেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। দায়িত্ব পান ৯ নম্বর সেক্টরের সুন্দরবন অঞ্চলের সাব-সেক্টর কমান্ডার হিসেবে। মুক্তিযুদ্ধে সুন্দরবন অঞ্চলে শত্রু দমনে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য তাকে ‘মুকুটহীন সম্রাট’ উপাধী দেওয়া হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি ব্যারাকে ফিরে যান। পরে মেজর হিসেবে পদমর্যাদা পান।
উল্লেখ, গত শুক্রবার সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিন ইন্তেকাল করেন ।
কেআই/টিকে
আরও পড়ুন