ঢাকা, সোমবার   ০৬ অক্টোবর ২০২৫

বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি, প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৩৭, ৫ অক্টোবর ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে  বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তা নদীর পানি। এতে নীলফামারী, লালমনিরহাট ও রংপুরের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।এরই মধ্যে কয়েকটি এলাকায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন হাজারো মানুষ।

রোববার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ২৫ মিটার। যা বিপৎসীমার (স্বাভাবিক ৫২.১৫ মিটার) ১০ সেন্টিমিটার ওপরে। এদিকে পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় তিস্তা ব্যারাজের সব (৪৪টি) জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

স্থানীয়রা জানান, গত দুইদিনের ভারী বৃষ্টি আর উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে। তিস্তার পানি বাড়তে থাকায় ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, খালিসা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী ও গয়াবাড়ী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন এবং ডুবে গেছে মৎস্য খামার, আমন ধানসহ নানান জাতের সবজির খেত। 

 এদিকে চরাঞ্চলের   রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় নৌকায় যোগাযোগ করছে ঐ অঞ্চলের মানুষ।  

ডালিয়া ডিভিশনের উপসহকারী প্রকৌশলী (পানি শাখা) তহিদুল ইসলাম বলেন, উজানের ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তার পানি বাড়ছে। নিম্নাঞ্চল ও চরগ্রামগুলো ইতোমধ্যেই তলিয়ে গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, রাতের মধ্যে পানি আরও বাড়তে পারে। বন্যার পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। সতর্কাবস্থায় থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এছাড়া তিস্তার নিম্নাঞ্চলের মানুষদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরানুজ্জামান বলেন, তিস্তার পানি বেড়ে একটি বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পাউবোর সহায়তায় সেটি মেরামত করা হচ্ছে। পানিবন্দী মানুষের জন্য শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।

এমআর// 

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি