ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৮ মে ২০২৫

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মজয়ন্তী আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৫, ৮ মে ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

আজ ২৫ বৈশাখ, বাংলা সাহিত্যের অবিসংবাদিত পুরুষ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাধারে কবি, নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, সংগীতজ্ঞ, চিত্রশিল্পী ও দার্শনিক। তার লেখনীতে ধরা পড়ে মানবতার জয়গান, প্রকৃতির সৌন্দর্য ও আত্মিক মুক্তির আহ্বান।

আজ বৃহস্পতিবার, ২৫শে বৈশাখ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম আবির্ভাব দিবস। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ শে বৈশাখ, কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে জন্ম বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উৎকর্ষের অন্যতম এই নায়কের। তিনি অনন্য সব সৃষ্টি গল্প, কবিতা, উপন্যাস, ছোটগল্প ও অসংখ্য গানের মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে পৌঁছে দিয়েছেন বিশ্বের কাছে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মা সারদাসুন্দরী দেবী এবং বাবা ব্রাহ্ম ধর্মগুরু দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন আট বছর বয়সে। ১৮৯১ সাল থেকে বাবার আদেশে নদিয়া, পাবনা, রাজশাহী ও ওড়িশার জমিদারি তদারকি শুরু করেন। কুষ্টিয়ার শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে তিনি দীর্ঘসময় অতিবাহিত করেন। ১৯০১ সালে সপরিবারে চলে আসেন বীরভূমের বোলপুর শহরের উপকণ্ঠে শান্তিনিকেতনে। তার জীবদ্দশায় এবং মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়েছে ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস, ৩৬টি প্রবন্ধ এবং অন্যান্য গদ্য সংকলন। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ নোবেল বিজয়ী এই সহিত্য প্রতিভাকে স্মরণ করবে তার অগণিত ভক্ত।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যজগৎ ছিল নানা বর্ণ, মানসিকতা ও চেতনায় ভরপুর। তাইতো, নিঃসঙ্গতার প্রতিচ্ছবি চারুলতা, সামাজিক বেড়াজাল ভেঙে আত্মসচেতন হয়ে ওঠা বিনোদিনী কিংবা গোরা উপন্যাসের স্বদেশপ্রেম ও জাতিসত্তার পরিচয়ে জর্জরিত পুরুষের মধ্যে আজও পাঠক খুঁজে ফেরে নিজেদের। বাংলার মাটিতে যেমন তাঁর কদর, তেমনি বিশ্ব দরবারেও সমানভাবে ছড়িয়ে আছে তার দীপ্তি। 


সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন তিনি। যা ছিল এশিয়ার প্রথম কোনো সাহিত্যিকের নোবেল প্রাপ্তি। রবীন্দ্রনাথ শুধু এক ব্যক্তি নন, তিনি এক চলমান চেতনার নাম, যিনি বাঙালি জাতির আত্মপরিচয়ের প্রতীক।

দিনটি উদযাপনে দেশের বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয়েছে নানা আয়োজন।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে এবছর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উদযাপনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘রবীন্দ্রনাথ ও বাংলাদেশ’। সকলের জন্য উন্মুক্ত অনুষ্ঠান ২৫, ২৬, ২৭ বৈশাখ (৮, ৯, ১০ মে) কুষ্টিয়ার শিলাইদহের রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে আয়োজন করা হয়েছে।

এ ছাড়া দিবসটি উদযাপনে ঢাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সংস্থার পক্ষ থেকে আজ বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। জাতি আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে এই মহামানবকে। দেশজুড়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পালিত হচ্ছে রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী।


এমবি//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি