ঢাকা, বুধবার   ০২ জুলাই ২০২৫

বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মাছ মারা নিষিদ্ধ নেদারল্যান্ডসে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:২৯, ১৮ এপ্রিল ২০২১ | আপডেট: ১৬:৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২১

Ekushey Television Ltd.

পালস ফিশিং বা বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মাছ মারা নেদারল্যান্ডসে প্রচলিত একটি ধারা। কিন্তু পরিবেশবাদী ও মৎস্যজীবীদের একাংশের প্রতিবাদে গোটা ইউরোপীয় ইউনিয়নজুড়ে নিষিদ্ধ হচ্ছে এই প্রক্রিয়া। বলা হয়, এভাবে মাছ ধরলে অপ্রয়োজনীয় জিনিস জালে উঠে না। পাশাপাশি, মাছ ধরার জাল সাগরের তলদেশে আটকে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে না।

কিন্তু ফ্রান্সের মৎস্যজীবীদের একটি অংশ ও ইউরোপের বেশ কিছু পরিবেশবাদীদের মত, এতে ক্ষতি হচ্ছে মৎস্য সম্পদের। পালস ফিশিং করা হয় পানিতে ইলেক্ট্রোড বা বৈদ্যুতিক লাঠি ডুবিয়ে, যা মাছের গায়ে শক দিয়ে তাকে ভাসিয়ে তোলে। কিন্তু এতে করে মাছের সংখ্যা ব্যাপক হারে কমার সম্ভাবনা থাকায় এর বিরোধিতা করছেন অনেকে।

পরিবেশের সপক্ষে না বিপক্ষে

২০১৯ সালে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট ও ইইউ কাউন্সিল এই ধরনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে, যা এই বছরের জুনমাস পর্যন্ত কার্যকর ছিল।

নেদারল্যান্ডস এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে লুক্সেমবুর্গের ইইউ কোর্ট অফ জাস্টিসে আপিল করে। তাদের মত, সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে বৈজ্ঞানিক সব দিক বিবেচনা করা হয়নি। বিশেষ করে, পালস ফিশিং ও সাধারণভাবে প্রচলিত লোহার জাল দিয়ে মাছ ধরার ‘বিম ট্রলিং', এই দুই প্রক্রিয়ার মধ্যে কোনটি পরিবেশের জন্য বেশি ক্ষতিকর, তা বিবেচনা করা হয়নি বলে নেদারল্যান্ডসের মত।

কিন্তু আদালতে এই দাবি গ্রাহ্য হয়নি। ইইউ কোর্ট অফ জাস্টিস জানায়, ‘‘ইইউ সংসদের এবিষয়ে সিদ্ধান্তগ্রহণের যথেষ্ট এক্তিয়ার রয়েছে এবং এই সিদ্ধান্তে পৌঁছতে শুধু বৈজ্ঞানিক বা প্রায়োগিক মতামত গ্রহণ করার বাধ্যবাধকতা নেই। যদিও বর্তমান বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মাছ ধরা নিয়ে নানা মত রয়েছে, কিন্তু কোনো গবেষণাতেই নেদারল্যান্ডসের দাবির প্রতি সমর্থন নেই৷ কোনো গবেষণাই বলে না যে এই প্রক্রিয়ার কোনো নেতিবাচক প্রভাব পরিবেশের ওপর নেই৷''

এসি
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি