মাস্ক পরে বেশি ফিলিপিনোরা
প্রকাশিত : ১৬:৪৯, ২০ জুলাই ২০২০

প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর থেকে বিশ্বজুড়ে ফেস মাস্কের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। ভাইরাসটি থেকে সুরক্ষা পেতে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে অনেক দেশে। অবশ্য অনেকেই বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রেহাই পেতে আগে থেকেই মাস্ক পরে আসছে। করোনার এই কালবেলায় মাস্ক পরার প্রবণতা নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রে সংবাদপত্র দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।
প্রতিবেদনে বৈশ্বিক জরিপকারী প্রতিষ্ঠান ডাইনাটার উপাত্ত ব্যবহার করা হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, ঘরের বাইরে সবচেয়ে বেশি মাস্ক পরা হয় ফিলিপাইনে। দেশটির ৯২ শতাংশ বাসিন্দা সব সময় এই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে। বিস্ময়কর হলেও সত্য, এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় আছে সুইডেন। দেশটির ৮৬ শতাংশ বাসিন্দা কখনোই মাস্ক ব্যবহার করে না।
করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই মাস্ক ব্যবহারে অনাগ্রহী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মাস্ক পরার জন্য ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনকে নিয়ে তিনি ব্যঙ্গও করেছেন। অবশ্য গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে মুখে মাস্ক পরেছেন ট্রাম্প। ওয়াশিংটনের বাইরে ওয়াল্টার রিড সামরিক হাসপাতাল পরিদর্শন করতে গেলে তাঁকে মাস্ক পরিহিত দেখা যায়। দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও এখন বলছেন, করোনা ঠেকাতে মাস্ক বেশ কাজে দেয়। যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি পরিচালিত জরিপে দেখা যাচ্ছে, এখন ঘরের বাইরে ৫৯ শতাংশ বাসিন্দা সব সময় মাস্ক ব্যবহার করে। এখনো ১৪ শতাংশ মার্কিন একেবারেই মাস্ক পরে না। আর বাকি ২৭ শতাংশ কখনো পরে, কখনো পরে না।
২১টি দেশের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে শীর্ষে থাকা ফিলিপাইনের পরের অবস্থানে আছে মেক্সিকো। সেখানকার ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা বাইরে চলাফেরাকালে সর্বদা এ সুরক্ষাবিধি মানে।
এদিকে লকডাউন শিথিল করে বিপাকে পড়েছে ফিলিপাইন। অন্যান্য দেশের তুলোনায় মৃত্যু কম হলেও দেশটিতে মৃত্যু থেমে নেই।
মৃত্যুর সঙ্গে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যাও। হঠাৎ করে প্রায় দ্বিগুণের কাছাকাছি করোনা রোগী বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন ফিলিপাইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
জুন থেকে দেশটির অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সব প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়। একই সঙ্গে রাজধানী ম্যানিলাসহ কয়েকটি এলাকায় লকডাউন শিথিল করা হয়।
এসএ/
আরও পড়ুন