ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৭ জুলাই ২০২৫

লাইফ সাপোর্টে এরশাদ

প্রকাশিত : ১৭:০০, ১ জুলাই ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। তাকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউতে)রাখা হয়েছিল। এরশাদের পারিবারিক সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

জাতীয় পার্টির সূত্রগুলো বলছে, রবিবার দুপুর থেকে সাবেক সেনা শাসকের শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি ঘটে। এরপর তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। যদিও এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য আসেনি।

গত বুধবার থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি। শুক্রবার তার ভাই গোলাম মোহাম্মদ কাদের এরশাদের জন্য দোয়া চান দেশবাসীর কাছে। যদিও তিনি চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জানিয়েছিলেন, তার ভাইয়ের অবস্থা আগের চেয়ে ভালোর দিকে।

সাবেক রাষ্ট্রপতির ফুসফুসে পানি জমেছে, যা বের করা জরুরি। তবে তার ফুসফুসের পানি বের করলে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটতে পারে। তবু এই পানি অপসারণের চেষ্টা করা হচ্ছে।

আজ সকালে একটি গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এরশাদের ছোট ভাই জি এম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে দেশের বাইরে নেওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা নেই।
তিনি বলেন, দেশেই ভালো ট্রিটমেন্ট (চিকিৎসা) হচ্ছে। এই ট্রিটমেন্টে আমরা সন্তুষ্ট।

এরশাদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ শঙ্কামুক্ত নন, তার চিকিৎসা সিএমএচেই হবে। সিঙ্গাপুরে নিয়ে চিকিৎসা করানোর মত শারীরিক অবস্থা তার নাই বলেও জানান তিনি।

সোমবার ( ১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১০টায় এরশাদকে দেখতে সিএমএইচের আইসিইউতে যান কাদের। সেখান থেকে সচিবালয়ে এসে এসব তথ্য জানান কাদের।

৯০ বছর পার হওয়া সাবেক সেনা শাসক দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগে ভুগছেন। গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে তিনি বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে আসেন। সে সময় এ নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়ালেও পরে জানা যায় তার অবস্থা সঙ্গীন।

এর মধ্যেই জাতীয় পার্টি তার চেয়ারম্যানকে বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচন করে। আর এরই মধ্যে তিনি দলের উত্তরসূরী হিসেবে ছোট ভাই জি এম কাদেরকে নির্বাচন করে গেছেন।

১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সামরিক শাসন জারির মাধ্যমে সেনাপ্রধান এরশাদ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসেন। তার পূর্বসূরি জিয়াউর রহমানের পথ ধরে ক্ষমতায় থেকেই গঠন করেন তার রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টি। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর গণঅভ্যুত্থানের কারণে ক্ষমতা ছাড়েন তিনি।

এরপর এরশাদ দুর্নীতির মামলায় সাত বছর কারাগারে থাকেন। তবে ক্ষমতা দখল ও জেনারেল মঞ্জুর হত্যাসহ তার বিরুদ্ধে থাকা আরো বেশ কিছু মামলার নিষ্পত্তি হয়নি দীর্ঘ দিনেও। আর এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ তাকে জোটে নিয়েছে।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি