ঢাকা, সোমবার   ১৪ জুলাই ২০২৫

সরকার খেলাধুলার বিকাশে সবকিছু করবে : প্রধানমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫১, ১২ অক্টোবর ২০১৮ | আপডেট: ০৯:৫৭, ১২ অক্টোবর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে খেলাধুলার বিকাশে যা যা প্রয়োজন সবকিছু করবে বলে আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, ‘খেলাধুলা ও সংস্কৃতি মানুষকে নিজের দেশকে আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরার সুযোগ করে দেয়।’

প্রধানমন্ত্রী গতকাল সন্ধ্যায় গণভবনে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্বের ‘এফ’ গ্রুপের খেলায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ান হওয়ায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবল দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের দেয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চা মানুষকে নিজের দেশকে আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরার সুযোগ করে দেয়। এছাড়া ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে মানুষ শৃঙ্খলা শিখে এবং আত্মবিশ্বাসী হয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ খেলাধুলা ও সংস্কৃতি থেকে সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে শিখে। এটি মনে রেখে আমরা দেশে খেলাধুলা ও সংস্কৃতির আরো বিকাশে গুরুত্ব দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ এক সময় খেলাধুলায় পিছিয়ে ছিল। এক্ষেত্রে অনেক বাধা ছিল। কিন্তু আল্লাহর রহমতে সেসব বাধা দূর হয়েছে। আমরা সেসব বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে এগিয়ে যাচ্ছি এবং এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি স্বাধীন দেশ আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। জাতির পিতা আজীবন একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য সংগ্রাম করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কেবল প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবেও তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায়বদ্ধতা আমার রয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতা তাঁর কাছে একটি দায়িত্ব এবং মানুষের সেবা করা।
তিনি বলেন, আমার কাছে ক্ষমতা হলো- একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন।
এক সময়ে দেশকে পেছন দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়েছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি ও আমার ছোট বোনকে ছয় বছর ধরে শরণার্থী জীবনযাপন করতে হয়েছে। কারণ, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আমাদেরকে দেশে ঢুকতে দেয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, দেশে ফেরার তিনি দেশের প্রতিটি এলাকা সফর করে দেশের মানুষের সমস্যা জানার চেষ্টা করেছেন।
খেলাধুলাও সংস্কৃতির প্রতি তাঁর পরিবারের সংশ্লিষ্টতা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর দাদা ও বাবা ফুটবল খেলতেন। তিনি বলেন, ‘আমার পরিবারের সকল সদস্য খেলাধুলার সাথে জড়িত ছিল। আমার বড়ভাই শেখ কামাল ছিলেন আবাহনী ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠাতা।’
প্রধানমন্ত্রী এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবল দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি তারা এগিয়ে যাবে এবং ভবিষ্যতে আরো ভালো করবে।’
ভুটানে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৮ নারী দলের পাকিস্তানকে ১৭-০ গোলে পরাজিত করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁর কাছে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয় অর্জনের মতো মনে হয়েছে এই বিজয়।
বালক ও বালিকাদের জন্য বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা স্কুল ফুটবল চালু করার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ এখন এর থেকে লাভবান হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বিএফএফ) সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শিদী এমপি, আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দলের সদস্যদের কিছু উপহার দেন। কাজী সালাহউদ্দিন ও বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দলের ক্যাপ্টেন মারিয়া মান্দা প্রধানমন্ত্রীকে দু’টি ফুটবল উপহার দেন।
স্বাগতিক বাংলাদেশ গত ম্যাচে র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ থেকে এগিয়ে থাকা ভিয়েতনাম দলকে ২-০ গোলে পরাজিত করে অপরাজিত গ্রুপ এফ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আবির্ভুত হয়।
ঢাকায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টে গ্রুপ ওপেনিং ম্যাচে বাহরাইনকে ১০-০ গোলে পরাজিত করার মাধ্যমে তার বিজয়ের সূচনা করে এবং তাদের দ্বিতীয় গ্রুপ ম্যাচে লেবানন দলকে ৮-০ গোলে পরাজিত করে।
দুটি গ্রুপের খেলা শেষে ৬টি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও দুটি বেস্ট রানার্স-আপ দল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়িং রাইন্ডে খেলবে। প্রতিটি গ্রুপের দুটি শীর্ষ দল চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ হবে। আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডে এই খেলা অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র : বাসস

এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি