ঢাকা, শুক্রবার   ০৪ জুলাই ২০২৫

সীমান্তে কী করছে রুশ বাহিনী? দেখা গেল স্যাটেলাইট ছবিতে 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:১৯, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | আপডেট: ১০:৩০, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২

Ekushey Television Ltd.

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ প্রযুক্তি কোম্পানি ‘ম্যাক্সার’ এর দেওয়া স্যাটেলাইট ছবিতে উঠে এসেছে ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সামরিক তৎপরতা। যদিও এখন পর্যন্ত সেনা প্রত্যাহারের দাবি করে চলেছে রাশিয়া। 

প্রসঙ্গত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি ইউক্রেনকে তিনদিক থেকে ঘিরে ফেলে রুশ বাহিনী। 

রাশিয়ার সামরিক তৎপরতা
সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হল, উত্তর-পশ্চিম বেলারুশের ওসিপোভিচি প্রশিক্ষণ এলাকা থেকে বেশকিছুটা দূরে একটি নতুন ফিল্ড হাসপাতালের উপস্থিতি। 

এটি যুদ্ধ এবং যুদ্ধে হতাহতের ইঙ্গিত করে বলেই মনে করা হচ্ছে।  

স্যাটেলাইট ছবিতে আরেকটি সৈন্য সমাবেশ দেখা গেছে ইউক্রেন সীমান্তের খুব কাছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি তোলা ছবিতে দেখা যায় প্রিপিয়াত নদীর ওপরে একটি সামরিক পন্টুন সেতু। যা বেলারুশ সীমান্তে ইউক্রেন থেকে মাত্র ছয় কিলোমিটার দূরে।  

লন্ডনভিত্তিক ম্যাকেঞ্জি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের বিশ্লেষকরা ওই ছবির আরেকটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছেন। যেখানে দেখা যায় নদীর ডান তীরে বড় একটি মঞ্চের মত জায়গা করা হয়েছে। যা বেশি সংখ্যক যানবাহনের যাতায়াতকেই ইঙ্গিত করে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে পন্টুনটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। 

আরেকটি ছবিতে দেখা যায় স্বচালিত আর্টিলারি, যা সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে বসানো হয়েছে। 

আরেকটি ছবিতে দেখা গেছে ২০টি অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক অ্যাটাক হেলিকপ্টারের নতুন একটি ইউনিট, যা সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। 

বর্তমানে বেলারুশে প্রায় ৩০ হাজার রুশ সৈন্য উপস্থিত আছে। যা ইউক্রেন এবং ন্যাটো উভয়ের জন্যই উদ্বেগজনক। 

এদিকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেলারুশ এবং রাশিয়ার সামরিক মহড়া চলার কথা রয়েছে। এদিকে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার ভাষ্য, বেলারুশ-ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা তৎপরতার এটিই একমাত্র কারণ।  

তাই ২০ ফেব্রুয়ারির পরের স্যাটেলাইট চিত্রতেই পরিষ্কার হবে রাশিয়ার মনোবাসনা। কারণ ওই তারিখের পরের ছবিতেই স্পষ্ট হবে, সামরিক মহড়া শেষে রাশিয়ার সৈন্য বেলারুশ ছেড়েছে নাকি, রয়ে গেছে। এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকরা।  
এসবি/ 
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি