সুন্দরবনে অপরাধী সনাক্ত করবে ‘সাইবার ট্র্যাক’
প্রকাশিত : ২১:২৭, ২৩ জানুয়ারি ২০১৮
 
				
					এখন থেকে ‘সাইবার ট্র্যাক’ নামে এক বিশেষ যন্ত্র বলে দেবে সুন্দরবনের কোথায় কোন অপরাধী কী অপরাধ করছে। ফলে অপরাধীদের সহজেই ধরা যাবে। বনের ভিতর দুই ভাগে মঙ্গলবার থেকে পরিচালিত এ অভিযানের মাধ্যমে বন্যপ্রাণী পাচার, অবৈধভাবে বনে প্রবেশ, চোরাচালান ও বনজ সম্পদ ধ্বংস ঠেকানো সম্ভব হবে বলে মনে করেছেন বন সংরক্ষকরা।
বন বিভাগের বন সংরক্ষক (খুলনা) আমির হোসেন চৌধুরী বলেন, সুন্দরবন কেন্দ্রিক অপারাধ ঠেকাতে সুন্দরবনে স্মার্ট পেট্রোলিং (বিশেষ নিরাপত্তা অভিযান) শুরু হচ্ছে। এজন্য সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগে ৮টি টিম দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে প্রতি মাসে ২০ দিন করে এ অভিযান চালাবে। অভিযানে সাইবার ট্র্যাক ব্যবহার করে অপরাধীদের চিহ্নিত করে সাজা দেওয়া হবে। যন্ত্রটি সুন্দরবন বিভাগের খুলনা অফিসে বসে মনিটরিং করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, সাইবার ট্র্যাক নিয়ে অভিযানের দায়িত্বে থাকাকালীন কোনও কর্মকর্তা অনিয়ম উদাসীনতা এবং অপরাধীদের সঙ্গে হাত মেলালে তাদেরকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। এজন্য তাদের কঠোর নজরদারিতে রাখবেন বন বিভাগ গঠিত বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা।
বন বিভাগের (পশ্চিম) সূত্র জানায়, বন বিভাগের লোকবল, নৌযান ও আধুনিক অস্ত্রের অভাবে সুন্দরবনে অভ্যন্তরে কিছু কিছু অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে তাই স্মার্ট পেট্রোলিং পদ্ধতি হাতে নেওয়া হয়েছে। এখন অবৈধভাবে বনের ভেতরে প্রবেশ করে মাছ শিকার, বনজ সম্পদ ধ্বংস ও বন্যপ্রাণী পাচার করার চেষ্টা করলে তাদের সেই মুহূর্তেই স্মার্ট পেট্রোলিংয়ের মাধ্যমে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা মামলা দিয়ে জেলে পাঠাবেন।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৪০টি দেশের রক্ষিত এলাকায় স্মার্ট পেট্রোলিংয়ের মাধ্যমে এ অভিযান চললেও জলজ পরিবেশে বাংলাদেশের সুন্দরবন একটি মডেল। স্মার্ট পেট্রোলিংয়ে পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগে প্রতি মাসে দুই লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ টাকা অভিযানে নৌযানের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
একে/টিকে
আরও পড়ুন
 
				        
				    






























































