৫ রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের আগমনে ব্যস্ত ঢাকা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:৪৭, ১৬ মার্চ ২০২১ | আপডেট: ১২:৫০, ১৬ মার্চ ২০২১
জাতির পিতার জন্ম শতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী। দুই ঐতিহাসিক আয়োজনে যোগ দিতে মাত্র দশ দিনে ৫ জন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান বাংলাদেশ সফর করবেন। এত অল্প সময়ের মধ্যে এত বেশি সংখ্যক শীর্ষ নেতাদের আগমন প্রথম এবং ঐতিহাসিকও বটে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, নেপাল, ভুটান ও ভারতের নেতাদের শীর্ষ সফরে ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান ছাড়াও বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে বাংলাদেশ। দশদিনের জমকালো আয়োজনে শ্রদ্ধা ও একত্বতা জানাতে যোগ দিচ্ছেন দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান।
১৭ই মার্চ প্রথম দিনের আয়োজনে স্বস্ত্রীক যোগ দিচ্ছেন মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ। সকালে এসেই জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও ধানমন্ডি বত্রিশে শ্রদ্ধা জানাবেন তিনি। বিকেলে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে উৎসবে যোগ দেবেন।
পরদিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। আলোচনা হবে শ্রমবাজার, ব্যবসা বণিজ্য, পর্যটন খাত নিয়ে। দশ হাজারের অধিক অবৈধ বাংলাদেশীদের বৈধ করা নিয়ে সমঝোতা স্বাক্ষরিত হবে এ সফরে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, আশা করা যায় মালদ্বীপের মহামান্য রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সফরকালে দুই দেশের বিরাজমান সুসম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকাসে ১৯শে মার্চ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হচ্ছেন। মূল আয়োজন ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নৈশ্যভোজে অংশ নেবেন তিনি। পরদিন আলোচনা ও সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে উপকূলীয় জাহাজ চলাচল, বিনিয়োগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বৈঠক শেষে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষরের কথা রয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে ২২শে মার্চ বাংলাদেশে আসছেন নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারী। পর্যটন খাত, সাংস্কৃতিক যোগাযোগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোড়দার করতে বেশ কিছু সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে এই সফরে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাশফি বিনতে শামস বলেন, আমাদের বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বপূর্ণ যে সম্পর্ক আছে সেটা আরও জোরদার হবে।
এদিকে, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ড. লোটে শেরিং আসছেন ২৩শে মার্চ। নির্ধারিত বৈঠকটি হচ্ছে ২৪ তারিখ। আর বহুল প্রতিক্ষিত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর শুরু হচ্ছে ২৬শে মার্চ সকালে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক যে অত্যন্ত গভীর এবং তার যে শ্রদ্ধা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তাদের যে আস্থা সেইজন্য এই সমস্ত রাষ্ট্রীয় সরকারপ্রধান ও রাষ্ট্রপ্রধানগণ বাংলাদেশে আসছেন। এই কোভিডের সময় যে তারা আসছেন এটা ঐতিহাসিক।
বিকেলে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন এবং সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বঙ্গবন্ধু বাপু ডিজিটাল মিউজিয়াম’এর উদ্বোধন ও পরিদর্শন করবেন।
প্রথমবারের মত, ২৭শে মার্চ ঢাকার বাইরে যাচ্ছেন ভারতের সরকার প্রধান। সাতক্ষীরায় জশেশ্বরী মন্দির ও গোপালগঞ্জের ওরাকান্দিতে দুটি মন্দির পরিদর্শন ও প্রার্থনায় অংশ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। শ্রদ্ধা জানাবেন টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনকের সমাধিতে। মতবিনিময় করবেন মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সাথে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, সুতরাং এই তিস্তা চুক্তির প্রতিটি পেইজে পেইজে সঠিক পর্যায়ে সই করা আছে। কিন্তু চুক্তিটি যে কারণে হয়নি সেটা আপনারা জানেন। আর ভারত সরকার বার বার আমাদের অঙ্গীকার করেছে যে ডেস্টেনবার্গ তারা সেটিতে কোন ব্যতয় হয়নি।
সরাসরি অংশ নেয়া ছাড়াও ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে আয়োজনে একাত্মতা জানাবেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ও চীনের প্রেসিডেন্ট। আফগানিস্তানকে দাওয়াত দিলেও সারা পাওয়া যায়নি। আর মিয়ানমারকে দাওয়াতই দেওয়া হয়নি।
১৭ থেকে ২৬শে মার্চ, এই সময়ে চলাচলে জনগণের কিছুটা কষ্ট হলেও দেশবাসীর সহায়তা চাওয়া হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে।
দেখুন ভিডিও :
এএইচ/ এসএ/
আরও পড়ুন










