ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪

রাজধানীর ১০টি এলাকায় ‘লকডাউন’র প্রস্তাব স্বাস্থ্য অধিদফতরের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:২২, ৭ জুন ২০২০

রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মধ্যে ১০টি এলাকাকে লকডাউন বা অবরুদ্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। একই সঙ্গে গাজীপুর, নরসিংদী এবং নারয়ণগঞ্জকে পাইলট পদ্ধিতিতে লকডাউন কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতর। 

আজ রোববার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ঝুঁকি বিবেচনায় ও কিছু প্যারামিটারের ভিত্তিতে সারাদেশকে রেড, ইয়েলো এবং গ্রিন জোনে ভাগ করা হচ্ছে। তবে লকডাউনের এলাকা চূড়ান্ত হতে এখনও বাকি আছে বলে জানান তিনি। 

ঢাকার এলাকাগুলো হলো, পল্টন, কলাবাগান, গেণ্ডারিয়া, সূত্রাপুর, গুলশান, রমনা, মতিঝিল, তেজগাঁও, শাহজাহানপুর এবং হাজারীবাগ। এলাকা ভাগ করার ক্রাইটেরিয়াতে এক লাখ মানুষের মধ্যে ১৪ দিনে সেখানে নমুনা সংগ্রহ, নমুনা সংগ্রহের বিপরীতে রোগী শনাক্ত এবং এই সময়ের মধ্যে রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার হার বিবেচনা করা হয়েছে। জোনের প্রস্তাবনা দেওয়া হলেও তা এখন চূড়ান্ত হয়নি বলে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে। যেসব প্যারামিটার ঠিক করা হয়েছে সেগুলো হলো, এক লাখ মানুষের মধ্যে ১৪ দিনের মধ্যে তিন থেকে ২৯ জন রোগী হলে ইয়েলো জোন, ৩০-এর বেশি হলে রেড জোন এবং তিনজন রোগীর নিচে হলে সেটা গ্রিন জোন—এটা প্রস্তাব করা হয়েছে সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য।

ঢাকার বাইর জেলা উপজেলার জন্য এক লাখ মানুষের মধ্যে ১৪ দিনের মধ্যে তিন থেকে নয় ইয়েলো, দশের বেশি হলে রেড এবং তিনজনের নিচে হলে গ্রিন—এটা হচ্ছে জোনাল হিসেবে ভাগ করার একটা প্রাথমিক প্রস্তাবনা। এর সঙ্গে প্রস্তাবনা হিসেবে আরও যোগ হয়েছে ডাবলিং রেট-ডাবলিং টাইম অর্থাৎ ১৪ দিনে কোনও এলাকার রোগী সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে, রোগের গ্রাফিক্যাল ট্রেন্ড, নমুনা কত সংগ্রহ হচ্ছে এবং এসব নমুনার ভেতরে কত শতাংশ পজিটিভ অর্থাৎ সংগ্রহকৃত নমুনার মধ্যে কতজন করোনাতে আক্রান্ত হয়েছেন। এরকম আরও কিছু প্যারামিটার যোগ করে এলাকা ভাগ করার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বিশেষভাবে নজর রাখার কথা রয়েছে অধিদফতরের প্রস্তাবনায়।

তবে গণমাধ্যমে লকডাউন বলা হলেও সেখানে কী কী ব্যবস্থাপনা হবে, কোন পদ্ধতিতে কোন বিধি-নিষেধের আওতায় কোন এলাকা আসবে সেটা নির্ধারিত এলাকার জনপ্রতিনিধিরা ঠিক করবেন। কিন্তু বিটুইন দ্য জোন অর্থাৎ রেড জোন থেকে সবুজ বা সবুজ থেকে হলুদ এলাকায় মানুষের যাতায়াত কী হবে সেটা কেন্দ্রীয়ভাবে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

জানা যায়, রেড জোন মানেই সম্পূর্ণভাবে এসব এলাকা লকডাউন করে দেওয়া নয়। এসব এলাকার ওয়ার্ড কমিশনার বা মেয়র যেভাবে এটা বাস্তবায়ন করলে সর্বোচ্চ সুবিধা পাবেন বলে মনে করবেন সেভাবেই তারা এটি বাস্তবায়ন করবেন। 

এমএস/এসি

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি