ঢাকা, শনিবার   ২৬ জুলাই ২০২৫

খেলোয়াড় থেকে মাদক বিক্রেতা! 

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ২১:২০, ২ অক্টোবর ২০২১

Ekushey Television Ltd.

ছিলেন এথলেট। ১০০ মিটার স্প্রিন্টে বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলায় সেরা হয়ে অংশগ্রহণ করেন বিভাগীয় পর্যায়ে। দৌড়ে খুলনা বিভাগেও সবাইকে ছাড়িয়ে যান মো. হাসান। এরপর ঢাকায় গিয়ে ট্রায়াল দিলেও জাতীয় দলে সুযোগ পাননি তিনি। তবে স্প্রিন্টে না পারলেও হ্যান্ডবলে জাতীয় যুবদলে ঠিকই জায়গা করে নেন তিনি। খেলেন বেশকিছু ম্যাচও। ক্রীড়ায় যার এমন উজ্জ্বল পথচলা সেই তিনিই অবশেষে হারিয়ে গেলেন মাদকের অন্ধকার জগতে!

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে চার সহযোগীসহ জাতীয় যুব হ্যান্ডবল দলের সাবেক এই খেলোয়াড়কে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো-চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের বড়মসজিদ পাড়ার মৃত মওলা বক্সের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক (৩৩), মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আসলাম (৪৭), মৃত আজিজুল হকের ছেলে হাসান (৪৯) এবং শহরতলীর দৌলতদিয়াড়ের মতলেবের ছেলে তোতা মিয়া (৪৭)। গ্রেফতারের পর তাদের কাছ থেকে ৪৯ টি প্যাথেড্রিন, নগদ ৪ হাজার ৪শ’ টাকা এবং একটি দা উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, বনি চুয়াডাঙ্গায় মাদকের নিজস্ব একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। তাকে এর আগেও একাধিকবার গ্রেফতারে অভিযান চালালেও সে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মসজিদ পাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকিদের গ্রেফতার করা হয়। 

গ্রেফতারের পর হাসান পুলিশকে জানায়, ১৯৮৭ সালে তিনি জাতীয় যুব হ্যান্ডবল দলে খেলেন। ১৯৮৯ পর্যন্ত তিনি এই দলে খেলেন। এরপর ভাগ্যান্বেষনে মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি জমান। সেখানে সুবিধা করতে না পারায় দেশে ফেরেন ২০১৭ সালে। দেশে একটি মুদির দোকান দিলেও তা বন্ধ হয়ে যায় অল্প দিনেই। এরপর বন্ধুদের সাথে মিলে মাদকের জগতে পা বাড়ান। প্রথমে শুধু সেবন করলেও পরে নিজেও বিক্রিতে নেমে পড়েন। যোগ দেন বনির দলে। ২০১৮ সালে একবার গ্রেফতারও হন তিনি।

চুয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার শীর্ষ মাদক কারবারি বনি ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করা হয়। এই গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে হাসানও আছেন। তার বিরুদ্ধে মোট ৬টি মামলা রয়েছে। গ্রেফতার বনির বিরুদ্ধে ৬টি, হাসানের বিরুদ্ধে ৬, আসলামের বিরুদ্ধে ৪টি এবং তোতা মিয়ার বিরুদ্ধে ১০টি মামলা আছে বলে জানান ওসি মোহাম্মদ মহসীন।
কেআই// 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি