শ্বশুরবাড়িতে মিললো যুবকের মরদেহ, পারিবারের দাবি হত্যা

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে শ্বশুরবাড়ির পাশের বাগান থেকে হারুনুর রশিদ হারুন (৩২) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের শাশুড়ি ও স্ত্রীকে থানায় নেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) ভোরে উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী গ্রামের মাইচ্ছাখালি ব্রিজ এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। 

নিহত হারুন সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের নবীগঞ্জ বাজার এলাকার আবদুল মান্নানের ছেলে। তিনি পেশায় মাংস ব্যবসায়ী ছিলেন।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হারুনের শাশুড়ি খুকি বেগম ও স্ত্রী বৈশাখী বেগমকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হারুনের শ্বশুর মনছুর আহমেদ ও ভায়রাভাই জুয়েল ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন।

হারুনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার বাবা-মা, ভাইবোনরা। তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার চেয়েছেন।

হারুনের ভাই রিয়াজ হোসেন ও বোন জ্যোৎস্না বেগম বলেন, “ভাবি বৈশাখীর বিয়ের আগে প্রেম ছিল। বিয়ের পরেও তিনি প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলতেন। এনিয়ে প্রায়ই হারুনের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হতো। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে হারুনকে তার ভায়রাভাই জুয়েল শ্বশুরবাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। রাত ৩টার দিকে খবর আসে হারুন আত্মহত্যা করেছেন। এটি আত্মহত্যা নয়। তাকে পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।”

তবে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হারুনের বয়সের তুলনায় বৈশাখীর বয়স অনেক কম। প্রাপ্ত বয়স না হলেও তাকে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের সময় তার বয়স ১৫-১৬ বছর ছিল। এতে স্বামীর সঙ্গে তার সামঞ্জস্যতা ছিল না। এনিয়েই মেয়েটি রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে আসে।

হাজিমারা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইনচার্জ) মফিজ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের কপালে জখম রয়েছে। শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানিয়েছে হারুন নিজেই বরই গাছের সঙ্গে আঘাত করে কপালে জখম করেন। 

তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।

এএইচ