ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০১ মে ২০২৫

নারীকে কটুক্তি করা নিয়ে দু’পক্ষে সংঘর্ষ, ইউএনও-ওসিসহ আহত ৩০

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৩:০৩, ১ মে ২০২৫ | আপডেট: ১৩:২৯, ১ মে ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা সদর ইউনিয়নের মোগলটুলা ও চানমনি পাড়া গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে ইউএনও-ওসিসহ প্রায় ৩০ আহত হয়েছেন। এক নারীকে নিয়ে কটুক্তি করায় দু’পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

বুধবার রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত রাতের আঁধারে উভয়পক্ষের লোকজন টর্স লাইট জ্বালিয়ে দা, বল্লম ও লাঠি সোটা নিয়ে একে অপরকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া করে। এ সময় ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও  লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস আগেও মোগলটুলা ও চানমনি পাড়ার মধ্যে ঘটনা ঘটেছিল। পূর্ব বিরোধিতায় একে অপরের প্রতি ক্ষিপ্ত ছিল। বুধবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে চানমনি পাড়া গ্রামের হেলাল মিয়ার স্ত্রী হালিমা বেগম তার ছেলে সাইফুল (২০)কে নিয়ে একটি রাইস মিলে ধান ভাঙ্গাতে যান। এখানে মোঘলঠোলা গ্রামের তৌহিদ মিয়া (২০) নামের এক যুবক হালিমা বেগমকে কটুক্তি করেন।  

হালিমার ছেলে সাইফুল ইসলাম এর প্রতিবাদ করলে এই নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্ক বিতর্ক ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের লোকজন রাতের আঁধারে দা, বল্লম ও লাঠি সোটা নিয়ে একে অপরকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। 

এ সময় সংঘর্ষ থামাতে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোশারফ হোসাইন ও সরাইল থানার ওসি মোঃ রফিকুল হাসান ঘটনাস্থলে যান এবং সেখানে দুজনই মারাত্মকভাবে আহত হন। 

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারী পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) তপন সরকার বলেন, ইউএনও স্যার ও ওসি সাহেবসহ ৪/৫ জন পুলিশ আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানান তিনি। 

এ বিষয়ে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোশারফ হোসাইন বলেন, ঝগড়ার খবর শুনে থামানোর জন্য ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। কথায় কথায় সংঘর্ষের সংস্কৃতি থেকে সবাইকে বেরিয়ে আসতে হবে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি