ঢাকা, শুক্রবার   ০৪ জুলাই ২০২৫

না ফেরার দেশে লেখক এবিএম ছিদ্দিক চৌধুরী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:২৫, ১৬ আগস্ট ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও ইতিহাস গ্রন্থের লেখক এবিএম ছিদ্দিক চৌধুরী (৮৪) গতকাল রাত ১০ টা ২০ মিনিটে ঢাকা সম্মিলতি সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। আজ বুধবার বাদ জোহর  কচুক্ষেত তারা মসজিদ প্রাঙ্গণে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর বনানীর সেনানিবাস কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়েছে।

তিনি সন্দ্বীপের ইতিহাস ঐতিহ্যের উপর অসংখ্য বই লিখেছেন। সাবেক এই সরকারী কর্মকতা অবসর জীবনে লেখালেখি, নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতির উপর প্রায় তিন দশক গবেষণাধর্মী কাজে নিয়োজিত ছিলেন। এছাড়া তাঁর লেখা ও সম্পাদনায় ১৭টি বই প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর বইগুলোর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধে সন্দ্বীপ, শাশ্বত সন্দ্বীপ উল্লেখযোগ্য।

তাঁর পিতার নাম মোহাম্মদ ইসমাঈল চৌধুরী, মাতার নাম চেমন আফরোজ চৌধুরী। তিনি ১৯৩৩ সালে সন্দ্বীপের বাউরিয়া ইউনিয়নের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাউরিয়া প্রাইমারি স্কুল থেকে ৫ম শ্রেণি ও সন্দ্বীপ হাইস্কুল থেকে ১৯৫১ সালে সাফল্যের সঙ্গে মেট্রিক পাস করেন। ১৯৫৩ সালে ঢাকা জগন্নাথ কলেজ থেকে আইএ পাশ করেন।

স্কুল জীবনে থেকে তাঁর মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা পরিলক্ষিত হয়। বায়ান্নর ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন সংগ্রামে তিনি লড়াকু সৈনিক ছিলেন। এরপর ১৯৫৪ সনে ঢাকা কলেজে ভর্তি হন। ১৯৫৭ সালে বি.এ পাশ করেন। ১৯৬০ সনে তিনি পাকিস্তান অডিট বিভাগে চাকরিতে যোগদান করেন।

মৃত্যুকালে তিনি  এক ছেলে ও দু’মেয়ে রেখে গেছেন। বড় মেয়ে সিফাত শারমিন চৌধুরী  পটিয়া শোভনদন্ডি কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞানের সহকারী-অধ্যাপক। একমাত্র ছেলে ডা. কর্ণেল ইমরুল কায়েস বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে আছেন। ছোট মেয়ে ইফফাত শারমিন চৌধুরী টুপা আমেরিকায় কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ে পিএইচডি গবেষণারত।

কেআই/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি