ঢাকা, সোমবার   ২০ মে ২০২৪

মোরেলগঞ্জে শিশুকন্যাকে হত্যার অভিযোগ, সৎ মা পালাতক

প্রকাশিত : ১৫:১১, ১১ মে ২০১৯

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সাড়ে তিন বছর বয়সী শিশুকন্যা উম্মে হালিমা ওরফে খাদিজাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শিশুটির সৎ মা সীমা বেগমের (২৮) বিরুদ্ধে।

উপজেলার সোনাখালী গ্রামে গতকাল শুক্রবার এ ঘটনা ঘটলেও আজ শনিবার সকালে থানা পুলিশের মাধ্যমে বিষয়টি জানাজানি হয়।  

নিহত শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ। শিশু হালিমা সোনাখালী গ্রামের আব্দুল হাদি মল্লিকের মেয়ে।

নিহত শিশুটির দাদা বলেন, সাড়ে তিন বছর আগে জন্মের সময় মারা যায় হালিমার মা রেশমা বেগম। তারপর থেকে হালিমাকে আমরা কোলে পিঠে করে মানুষ করেছি। এর মধ্যে আমার ছেলে হাদি আবার বিয়ে করেন সীমা বেগমকে। বিয়ের পর থেকে বিভন্ন সময় সীমা হালিমাকে মারধর করত। এক পর্যায়ে শুক্রবার সকালে বাড়ির উঠানে খেলা করছিল শিশু হালিমা। সেখান থেকে ঘরের মধ্যে ডেকে নিয়ে সীমা বেগম দুধের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে হত্যা করেছে। পরে লোক জানাজানির ভয়ে ঘরের পাশের পুকুরে ফেলে দেয়। পরে আমরা খোজাখুজি করতে করতে পুকুরের মধ্যে হালিমার নিথর দেহ পাই। ততক্ষণে হত্যাকারী সীমা ঘরে থাকা টাকা পয়সাসহ তার কোলের বাচ্চাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আমরা হাসপাতালে নিলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক হালিমাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে শিশু কন্যা হারিয়ে পাগল প্রায় পিতা আব্দুল হাদি মল্লিক বাড়িতে বসে প্রলাপ বকছেন।

মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, নিহত শিশুটির পিতা প্রথমে বলেছিল পুকুরে পড়ে গেছিল শিশুটি। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কিন্তু শিশুটিকে বাড়িতে আনার পরে পরিবারের লোকজন বলছে ওর সৎ মা সীমা হত্যা করেছে হালিমাকে। সত্য ঘটনা উদ্ধারে আমরা শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে মূল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে বলে জানান ওসি।


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি