ঢাকা, রবিবার   ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সুন্দরবনের খালে জুলাই-আগস্টে মাছ আহরণ বন্ধ

প্রকাশিত : ২২:৩৮, ৩০ জুন ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

 

প্রজনন মৌসুম শুরু হওয়ায় সুন্দরবনের ৪ শতাধিক খালে ১ জুলাই থেকে দু‘মাস মাছ আহরণ বন্ধ থাকবে। জীব বৈচিত্র ও মৎস্য সম্পদ রক্ষায় পূর্ব ও পশ্চিম সুন্দরবনের ৪ শতাধিক খালে জুলাই ও আগস্ট মাসে মাছ ধরা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন বিভাগ।

বনবিভাগ জানায়, জুলাই ও আগস্ট মাসে পাস-পারমিট নিয়ে বনের অভ্যন্তরে খালে এক শ্রেণির অসাধু জেলে জাল দিয়ে মাছ আহরণের আড়ালে বিষ প্রয়োগ করে চিংড়ি মাছ আহরণ করে। কিন্তু ওই বিষে খালের মাছসহ জীববৈচিত্র ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যার ফলে মাছ মরে খালের পানিতে ভেসে ওঠে। বিষে মরা মাছ খেয়ে অন্যান্য জীব-জন্তুও মারা যায়, পরিবেশের উপর বিরুপ প্রভাব পড়ে। এ কারণেই সুন্দরবন বন বিভাগ এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

মৎস্য ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান শেলু বলেন, সুন্দরবনের খালে মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণায় জেলেদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার কারণে অধিকাংশ জেলে নদীতে মাছ আহরণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ সহায়তা দেয়ার দাবি করেন তিনি।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক মো: জয়নাল আবেদিন জানান, সুন্দরবনে মাছের প্রজনন মৌসুম জুলাই-আগস্ট। এই দুই মাসে বনের মধ্যে ২৫ ফুট বা তার কম চওড়া কোন খালে জেলেরা মাছ আহরণ করতে পারবেন না। এছাড়া জেলেরা ওই সময়ে নদীতে মাছ আহরণ করতে পারবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, যদি কোন জেলে ওইসব খালে মাছ আহরণের সুযোগ নেয় তাদের বিরুদ্ধে বন আইনে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোঃ মাহমুদুল হাসান বলেন, সুন্দরবন পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগের আওতায় বনের ৪ শতাধিক খালে মাছ ধরায় নিষেদ্ধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ১লা জুলাই থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত বলবত থাকবে। সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র রক্ষা ও মৎস্য সম্পদের পরিমান বৃদ্ধির লক্ষে বন বিভাগ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নিষেদ্ধাজ্ঞা কার্যকরে সকল রেঞ্জ কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি