কোরবানিকে সামনে রেখে কামারদের কাটছে ব্যস্ত সময়
প্রকাশিত : ১৯:৫৬, ১০ আগস্ট ২০১৯

কোরবানির ঈদ ঘনিয়ে আসছে। এ কারণে কামারের কদরও বাড়ছে। পশু জবাইসহ মাংস ও হাড্ডি কাটার জন্য দা, ছুরির প্রয়োজন হয়। তাই লোকজন কামারের দোকানে তাদের দা, ছুরি বানাতে কিংবা তা শান দিতে দারস্থ হচ্ছে। কামার শিল্পীর তৈরি গ্রাম-বাংলার গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি কুড়ল, দা, বটি, কোদাল, কাচিঁ, নিড়ানি, খুন্তি, লাংগলের ফলা ইত্যাদির ব্যাপক চাহিদা থাকলেও বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে উৎপাদন খরচ পাচ্ছে না কামাররা।
বর্তমানে অত্যাধুনিক সব যন্ত্রপাতি আবিষ্কারের ফলে হাতের তৈরি ওই সব জিনিসপত্র মানুষ বেশী ব্যবহার করছে না। এ কারনেও লোহার ওই উপকরনের প্রতি মানুষের অনীহা দেখা যাচ্ছে। কামার শিল্পে অপরিহার্য অপর উপকরন কয়লার মূল্য বর্তমানে কয়েক গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধুমাত্র কোরবানির ঈদ আসলেই মানুষ ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে এ কাজে।
এ উপলক্ষে কামারের দোকানে নতুন ক্রেতার সমাগমে তাদের বাড়তি আয়েরও সুযোগ হচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল, নাছিরনগর, আশুগঞ্জ, বিজয়নগর, আখাউড়া, কসবা, নববীনগর, বাঞ্ছারামপুরসহ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর এলাকার বিভিন্ন বাজারের কামারের দোকানগুলোতে এখন দিন দিন ভিড় বাড়ছে।
এ নিয়ে কথা হয় মাধব কর্মকার, হরিলাল কর্মকার, সাধন কর্মকারসহ আরও বেশ কয়েকজন কর্মকারের সাথে। তারা জানায়, বর্তমান সময়ে তাদের তৈরি জিনিসপত্রের চাহিদা আগের তুলনায় অনেকাংশে কমে গেছে। তবে ঈদকে সামনে রেখে গত কয়েকদিন ধরে দা ছুরি তৈরি কাজ ব্যপক ভাবে করে যাচ্ছেন। নতুন দা, ছুরি, বটি ইত্যাদিও ভালো বিক্রি হচ্ছে। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও দোকানে এসে প্রয়োজনীয় দা, ছুরি, বটি কিনে নিচ্ছেন। ব্যবসা অনেক ভালো হচ্ছে বলে তারা জানান।
এনএম/কেআই
আরও পড়ুন