ঢাকা, শনিবার   ২৮ জুন ২০২৫

ভারত ফেরত যাত্রীদের হাতে দেওয়া হচ্ছে সিল

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ২০:৪৫, ২১ মার্চ ২০২০ | আপডেট: ২০:৪৯, ২১ মার্চ ২০২০

Ekushey Television Ltd.

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধকল্পে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ফেরা যাত্রীদের হাতে সিল দেওয়া শুরু হয়েছে। 

শনিবার সকাল থেকে যাত্রীদের হাতে সিল দেওয়া শুরু হয়। সিলে ইংরেজিতে লেখা আছে “প্রাউড টু প্রটেক্ট, “বাংলাদেশ হোম কোয়ারেন্টিন”। ওই লেখার নীচে আলাদা তারিখ লিখে দেয়া আছে। যাতে হোম কোয়ারেন্টিন শেষ হওয়ার সময় উল্লেখ করে দেয়া হয়। 

স্থলবন্দরে যাত্রী পারাপারে বেশ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। মাস্ক ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেয়া হয়নি বন্দর এলাকায়। পণ্যবাহি ট্রাকের চালক ও সহযোগিকেও মাস্ক পড়তে হয়। বন্দর এলাকায় কর্মরত কাস্টমস,বিজিবি, ইমিগ্রেশন ও স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজনও মাস্ক পরেন। সকালে দিকে বন্দরের স্বাস্থ্য বিষয়ক কার্যক্রম পরিদর্শনে যান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ মো. শাহ আলম। 

এসময় তিনি সার্বিক কার্যক্রম তদারকির পাশাপাশি ভারত ফেরা যাত্রীদেরকে বিভিন্ন ধরণের পরামর্শ দেন। ভারত থেকে ফেরা যাত্রী  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুবর্না ভট্টাচার্যের হাতে সিল মারা হয়। সুবর্না জানান, তিনি ভারতের ত্রিপুরা ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনা করেন। আগামী মাসের ৫ তারিখ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করায় চলে এসেছেন। ইমিগ্রেশনে দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে বিশেষ পোশাক পরে থাকতে দেখা যায়। কাস্টমস এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ভারতের শ্রমিকদের একটি দল তাদের দেশে ফিরছেন। 

জানা গেছে, ওই শ্রমিকরা সিলেটের লামার্জ সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। এক মাসের জন্য তাঁরা দেশে চলে যাচ্ছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফিরে আসবেন। 

এব্যাপারে আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন ইনচার্জ মো. আব্দুল হামিদ জানান, শুক্রবার ঢাকা থেকে সিল পাঠানো হয়েছে। শনিবার সকাল থেকেই ভারত ফেরা যাত্রীদের হাতে সিল মেরে দেয়া হচ্ছে। শনিবার সকালে থেকে দুপুর পর্যন্ত ৫০ জন বাংলাদেশ থেকে ভারতে যায় এবং ১০ জন ভারত থেকে বাংলাদেশে আসে। 

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ মো. শাহ আলম জানান, বন্দরে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। ভারত থেকে ফেরা প্রত্যেক যাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর পাশাপাশি একটি ফরম পূরণ করতে হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের একাধিক টিম এখানে কাজ করেন।

কেআই/আরকে


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি