স্বাস্থ্য বিধি অমান্য করে রাজশাহীতে পশুহাট
প্রকাশিত : ২৩:১২, ২২ মার্চ ২০২০

প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বারবার গণজমায়েত থেকে দুরে থাকার কথা বলা হলেও সরকারি এই নির্দেশনা অমান্য করে রাজশাহীতে বসেছে পশুর হাট। করোনা প্রতিরোধের নিয়ম না জানা গ্রাম থেকে আসা এসব মানুষের জমায়েতে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এতে উদ্বিগ্ন সচেতনমহল।
প্রতি রোববার ও বুধবার রাজশাহী নগরের শাহ মুখদুম থানা এলাকার খিরশিন টিকর এলাকায় বসে সিটি হাট। বাজারে মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণসহ হাট খোলা রাখতে নানা অজুহাত ইজারাদারদের। তবে এনিয়ে নির্দেশ পেলে দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
করোনা ভাইরাস ছড়ানোর কারণ, প্রতিকার ও তার প্রতিরোধের উপায় জানিয়ে রাজশাহী নগরজুড়ে চলছে মাইকিং, প্রচার প্রচারণা। অথচ নগরের আরেকপাশেই বসছে রমরমা পশুর বাজার সিটি হাট। গ্রাম-গঞ্জ থেকে এসেছেন অসচেতন হাজার হাজার মানুষ।
বিশাল হাটে পশুর পাশাপাশি, ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়, ধুলো-ময়লা ও গাদাগাদি অবস্থায় চলছে বেচাকেবা। হাঁচি-কাশি, থুতু ফেলা, হাত মেলানা, জড়িয়েধরাসহ বন্ধ নেই সংস্পর্শে আসার কোন কিছুই। এতে ঝুঁকি বাড়াচ্ছে করোনার সংক্রমণের। তবে ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও জীবিকার তাগিদেই এসেছেন বলছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
আনসার আলী নামের এক গরুর রাখাল বলেন, ‘আমরা গরীব মানুষ। আমরা আসছি পেটের দায়ে। আমাদের কিস্তি আছে। হাটে না আসলে আমাদের আয় হবে না।’
আর হাটে আগতদের সচেতন করার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের প্রয়োজন মেটানো ও বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে হাট খোলা হয়েছে বলে দাবি এ হাট ইজারাদার মোহাম্মদ বাবুর। তিনি বলেন, পরিস্কার থাকবেন। সাবান দিয়ে হাত ধুবেন; হাটে আসা লোকজনের মধ্যে প্রচার করা হচ্ছে।
নগরীর পাশেই বিশাল এ জমায়েত ও করোনা ছড়ানোর ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশের কারণে উদ্বিগ্ন সচেতন মহল। সমাজকর্মী সুব্রত কুমার পাল বলেন, গরুর হাটে গ্রামের হাটে এসে হাত মেলাচ্ছে। টাকা নিয়ে গণনা করছে। এই বিষয়গুলো আমাদের সচেতন থাকতে হবে। তাহলেই করোনার সংক্রামণ ঠেকাতে পরব।
গণজমায়েতকে নিরুৎসাহিতের কথা বললেও মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রুহুল কুদ্দুস বলেন, হাটের জমায়েত নিয়ে নির্দেশ পেলেই ব্যবস্থা নিবেন তারা। জনসাধারণের কথা মাথায় রেখে এ ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে আমরা এটা বন্ধ করে দেব।
কেআই/আরকে
আরও পড়ুন