ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪

নোয়াখালী-লালমনিরহাটে ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২১, ২৫ আগস্ট ২০২০ | আপডেট: ১২:২৪, ২৫ আগস্ট ২০২০

দেশের বিভিন্ন স্থানে বেড়েছে নদী ভাঙ্গন। এর মধ্যে নোয়াখালীর হাতিয়ার বিভিন্ন এলাকায় মেঘনার ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। একই অবস্থা উত্তরের জেলা লালমনিরহাটে। যেখানে সদর উপজেলার ধরলা গ্রাম নদী ভাঙ্গনে বিলীন হওয়ার পথে।  গ্রামের প্রায় ৫শ’ মিটার জুড়ে শুরু হয়েছে ভাঙ্গন। 

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার হরণী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ঘাট, চতলার ঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে মেঘনার এই ভাঙ্গন তীব্র হয়েছে। গত তিন বছর ধরে এটি অব্যাহত রয়েছে। এবার বর্ষার শুরুতেই তিন শতাধিক পরিবার ভিটেমাটি হারিয়েছে। এ নিয়ে গত আট বছরে গৃহহারা হয়েছে এখানকার অন্তত তিন হাজার পরিবার।

চতাল স্লুইচগেট ও একমাত্র বয়ারচর রক্ষা বেড়িবাঁধের প্রায় ৫ কিলোমিটার ভেঙ্গ গেছে। এতে প্রতিদিনই জোয়ারের পানি ঢুকছে লোকালয়ে। ডুবছে বাড়িঘর, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ ও নষ্ট হয়ে গেছে বাড়ির আঙিনায় চাষ করা শাক সবজি। 

ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, ‘বেড়িবাঁধ না থাকার কারণে তিন হাজার পরিবার চরম হুমকির মুখে পড়েছি। ধানসহ কোন ফসল চাষাবাদ করা যাচ্ছে না। বাঁধ নির্মাণ করার কথা থাকলেও বাস্তবায়ন হয়নি।’

তবে ভাঙ্গনরোধে প্রকল্প নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

এদিকে লালমনিরহাটের সদরের চর ফলিমারি গ্রামটি ধরলা নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হওয়ার হুমকিতে পড়েছে। গ্রামের প্রায় ৫০০ মিটারজুড়ে ভাঙ্গছে ধরলা নদী। ভাঙ্গন ঠেকাতে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করছেন গ্রামবাসী। তাদের সঙ্গে কাজ করছে রোভার-স্কাউট সদস্যরা। 

ভুক্তভোগীরা জানান, ‘ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় নিজেরাই বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। ভাঙ্গন থেকে বাঁচতে অনেকে ঘরবাড়ি অনত্র সরিয়ে নিয়েছেন।’

স্থায়ীভাবে ভাঙ্গন ঠেকাতে সরকারিভাবে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান ভাঙ্গনকবলিতরা। 

এআই/এসএ
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি