ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

শাল্লায় বাড়িঘর ভাঙচুরে থানায় মামলা

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:

প্রকাশিত : ২১:০০, ১৮ মার্চ ২০২১

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে মুমিনুল হকের অনুসারীদের সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় শাল্লা থানায় ৮০ জনের নাম উল্লেখ করে ৭০০জনকে অজ্ঞাত আসামী করে হবিবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।  আজ বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় মামলা দায়ের করা হয়। 

শাল্লা থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মো. নাজমুল হক মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হিন্দু বাড়ীঘরে হামলা,ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বাদী হয়ে ৮০ জনের নাম উল্লেখ করে ৭শ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। 

একাধিক সুত্র জানায়, গত সোমবার দিরাই পৌর শহরে হেফাজতে ইসলাম কর্তৃক আয়োজিত শানে রিসালত সম্মেলন উপলক্ষ্যে সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা জুনাইদ বাবুনগীর , মাওলানা মামুনুল হকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।  পরে মামুনুল হককে নিয়ে শাল্লা উপজেলার নোয়াগাও গ্রামের ঝুমন দাস (২৮) নামের এক হিন্দু যুবক  ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার রাতে নোয়াগাঁও গ্রামের স্থানীয়রা ঝুমনকে আটক করে পুলিশে দেন। পরে বুধবার সকালে  শাল্লা উপজেলার কাশিপুর, দিরাই উপজেলার নাছনি, সন্তোষপুর ও চন্দ্রপুর গ্রামের মানুষ লাটিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামের পাশে স্থানীয় ইউপি সদস্য স্বাধীনের নেতৃত্বে ধারাইন নদীর তীরে  অবস্থান নেয়। পরে সেখান থেকে শতাধিক লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামে গিয়ে মানুষের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা চালায়।

সুনামগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. সেলিম নেওয়াজ জানিয়েছেন, আটক ঝুমন দাসকে বুধবার ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ আদালতে হাজির করে। পরে আদালতের আদেশে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন র্যােবের মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ সময় তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে ঘটনার সাথে যে বা যারা জড়িত তাদেরকে কঠোরহস্তে দমন করার হুসিয়ারী উচ্চারণ করেন। 

আরকে// 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি