ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

আ’লীগের সম্মেলনে হামলার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৫:১৮, ২৪ মার্চ ২০২২

ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজ

ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজ

রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে হামলা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে নগরের শিরোইল বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বাঘা থানা পুলিশ।

মেরাজুল ইসলাম মেরাজ রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাঘা উপজেলার ৩নং পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। গত ইউপি নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গত ২১ মার্চ আওয়ামী লীগের সম্মেলনে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় দুটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে বাসযোগে মেরাজ রাজশাহী ছাড়ছেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহযোগিতায় বাঘা থানা পুলিশ নগরের শিরোইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় তাকে ঢাকা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

পরে তাকে বাঘা থানার দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

ওসি আরও বলেন, মেরাজ ছাড়াও জুবান মালিথা নামে সাবেক এক কাউন্সিলরেকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার রাতে কলিগ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জুবান ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর। 

এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এর আগে ঘটনার দিন শাওন নামের একজন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ বাঘা শাহদৌলা সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাস আলীর সমর্থকেরা মঞ্চের সামনে ‘আক্কাস ভাই, আক্কাস ভাই’ বলে স্লোগান দেন। এ সময় কেন্দ্রীয় নেতা এসএম কামাল হোসেন লোকজন নিয়ে আক্কাসকে পেছনে যেতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এসএম কামালকে লক্ষ করে মোবাইল ছুড়ে মারে আক্কারের মেয়ে।

এ সময় কামাল হোসেনও উত্তেজিত হয়ে উঠেন। এক পর্যায়ে আক্কাসের লোকজন মঞ্চের দিকে চেয়ার ছুঁড়ে মারেন। তখন অনুষ্ঠানের উপস্থিত লোকজন তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। 

এ ঘটনায় বাঘা থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়। দুই মামলায় ৮২ জনের নাম উল্লেখ করে ৭০০ জনকে আসামি করা হয়।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি