ঢাকা, রবিবার   ০৫ মে ২০২৪

‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ রেলের এই ব্যবস্থায় খুশি যাত্রিরা

নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৬:১৪, ১ মার্চ ২০২৩

‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ এই ব্যবস্থায় জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে সারাদেশের মত নাটোর স্টেশনেও শুরু হয়েছে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ কার্যক্রম। রেলের নতুন টিকেটিং ব্যবস্থাকে সাদরে গ্রহণ করেছেন নাটোরের যাত্রিরা। 

বুধবার সকাল থেকেই নাটোর রেলস্টেশনে নতুন টিকেটিং পদ্ধতির রেজিস্ট্রেশন করতে হেলফ ডেক্স কাউন্টারে ভিড় করছেন অনেকেই। 

প্রথম দিনই লাইনে দাঁড়িয়ে নতুন এই টিকেটিংয়ের জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেন যাত্রীরা। রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পর টিকিট কাউন্টারে গিয়ে তারা টিকিট কাটছেন। যারা নিবন্ধিত হতে পারছেন তারা ভ্রমণের টিকিট সহজে কাটতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করে এই ব্যবস্থাকে স্বাগত জানিয়েছেন। 

টিকিট কালোবাজারি বন্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সরকারি উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন অনেকে। তবে যাত্রিদের কেউ কেউ অভিযোগ করেন, তারা জানেননা কিভাবে রেজিষ্ট্রেশন করতে বা টিকিট কাটতে হয়। এই ব্যবস্থার পরিবর্তন চেয়েছেন তারা। জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় অনেককেই জরুরি প্রয়োজনে স্টেশনে এসে ফিরে যেতে হয়েছে।

জুবায়ের হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, এই টিকেটিং আমরা ভালো মনে করছি। এনআইডি ব্যবহার করে টিকেট ইস্যু হলে কালোবাজারি থেমে যাবে।

জামিল হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, এই মুহূর্তে রেলভ্রমণ করছি না। তবে আজ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করলাম। ভারতসহ বিশ্বের প্রতিটি দেশে এই পদ্ধতি চালু আছে। আমাদেশ দেশে শুরু হওয়াটাও ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। 

দিল আফরোজ বানু নামে এক যাত্রী বলেন, আজ থেকে এনআইডি ব্যবহার করে টিকেট কিনতে হবে তা আগে থেকে জানতাম। তাই প্রস্তুতি নিয়েই এসেছি। পবিত্র ঈদে আমরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হই। এই ব্যবস্থা অব্যাহত থাকলে ভোগান্তিসহ টিকেট কালোবাজারির থাবা থেকে মুক্ত হবো।

সোহাগ হোসেন নামে ষাটোর্ধ এক যাত্রি চিলাহাটি যাওয়ার জন্য ১০ কিলোমিটার দূর থেকে এসেছেন। কিন্তু নতুন পদ্ধতির জন্য টিকিট কাটতে না পেরে তাকে বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে। তিনি বলেন, এই ব্যবস্থার আমরা কিছুই বুঝিনা। আগের ব্যবস্থাই ভাল ছিল। 

নাটোরের স্টেশন মাস্টার অশোক চক্রবর্তী বলেন, যাত্রিদের সহায়তায় হেল্পডেক্স স্থাপন করা হয়েছে। সকাল থেকেই নিয়মিত যাত্রীর পাশাপাশি অনেকেই রেজিস্ট্রেশন করতে আসছেন। আমরা পর্যায়ক্রমে যাত্রিদের এবং জনসাধারণের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করছি। 

প্রথমদিকে কিছুটা চাপ মনে হলেও পরে তা ঠিক হয়ে যাবে। আমরা ধৈর্য ধরেই যাত্রিদের সেবা দিতে আগ্রহী। ঢাকা-রাজশাহী-খুলনা রুটের যাত্রীরা খুব শিঘ্রই নতুন এই পদ্ধতির সুফল ভোগ করবেন বলে আশা করেন তিনি।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি