ঢাকা, রবিবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪

মাদক আত্মসাতের অভিযোগে শার্শা থানার ওসিসহ পাঁচ পুলিশ ক্লোজড 

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ২৩:২৫, ১৬ মার্চ ২০২০ | আপডেট: ২৩:২৫, ১৬ মার্চ ২০২০

যশোরের শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. আতাউর রহমানসহ পাঁচ পুলিশকে ক্লোজড করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে আদেশ আসার পর বিকালে তাদের ক্লোজড করা হয়। উদ্ধার করা মাদকদ্রব্য আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। তবে জেলা পুলিশ থেকে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। 

ক্লোজড হওয়া অন্য পুলিশ সদস্যরা হলেন, থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. আবুল হাসান, সহ-উপপরিদর্শক (এএসআই) আবু বক্কর সিদ্দিক, কনস্টেবল আব্দুল মান্নান এবং ইকবাল হোসেন।

সোমবার খুলনার ডিআইজি ড. মুহাম্মদ মহিদ উদ্দিন এক অফিস আদেশে (স্মারক নম্বর-জিএ-০২/৩১০৬/৭) তাদের ক্লোজড করা হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, প্রশাসনিক কারণে শার্শা থানার ওসি মু. আতাউর রহমানকে ক্লোজড করে খুলনা রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স (আরআরএফ)-এ সংযুক্ত করা হলো। একইসঙ্গে এসআই মো. আবুল হাসান, এএসআই আবু বক্কর সিদ্দিক, কনস্টেবল আব্দুল মান্নান ও ইকবাল হোসেনকে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হলো।

পুলিশের একটি সূত্র বলছে, ওসি ও তার সহযোগিরা উদ্ধার করা ৪৫০ বোতল ফেনসিডিল ও ১৬ কেজি গাঁজা আত্মসাৎ করেছেন। সেই কারণে তাদের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।

তবে যশোর জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘একটি মামলার আলামত সঠিকভাবে সংগ্রহ না করার কারণে ওই পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শার্শা থানার একটি সূত্র জানান, এস আই আবুল হাসান, অফিসার ইনচার্জকে না জানিয়ে গভীর রাতে মাল খানা থেকে মুন্সি আব্দুল মান্নানের সহযোগিতায় একটি মামলার আলামত বের করে নিজ হেফাজতে রাখে। কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার এএসআই সিদ্দীক বিষয়টি সম্পর্কে অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমানকেও জানায়নি। আলামত আত্মসাত ও কর্তব্যে গাফিলতির কারনে তাদের সবাইকে ক্লোজড করা হয়। 

কেআই/আরকে
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি