ঢাকা, সোমবার   ২৭ মে ২০২৪

অর্থবছরের প্রথম মাসে রফতানি আয় প্রত্যাশার চেয়েও বেশি (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:১১, ১৯ আগস্ট ২০২০

অর্থবছরের প্রথম মাসে দেশের রফতানি আয় প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রফতানি বাড়ে প্রায় সাড়ে ১৩ শতাংশ। বৈশ্বিক করোনা মহামারীতে রফতানির এমন চিত্র অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছে। তবে শঙ্কা দূর করতে পারেনি। কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি পুরোপুরি স্বাভাবিক না হলে রফতানির এই গতিশীলতা ধরে রাখা সম্ভবনাও হতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। 

গত অর্থবছরের মাঝ পথেই কিছুটা স্লথ হয়ে যায় রফতানি বাণিজ্য। আর বৈশ্বিক করোনা মহামারী ভয়াল রূপ নিলে শেষ প্রান্তিকে থমকে যায় উৎপাদন কর্মকাণ্ড ও সরবরাহ ব্যবস্থা। স্থবির হয়ে পড়ে বৈদেশিক বাণিজ্য। ফলশ্রুতিতে গেল অর্থবছর শেষে রপ্তানি আয় ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ কমে নেমে আসে ৩৩ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এমতাবস্থায় করোনা সংকটে তো বটেই, করোনা পরিবর্তি রফতানি বাণিজ্য ঘুরে দাঁড়াতেও বেশ সময় নেবে। দেশি-বিদেশি সংস্থা ও অর্থনীতিবিদের পূর্বাভাস এমনটাই ছিল।  

সব পূর্বাভাসকে আপাতত দূরে ঠেলে গত জুলাই মাসে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় উন্নীত হয় ৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। অর্থবছরের প্রথম মাসের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেশি। এতে কিছুটা স্বস্তির ফেরে রফতানিকারকদের মাঝে।

এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন জানান, রপ্তানি খাত ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে, রেডিমেট গার্মেন্টন্সের অনেক অর্ডার আসছে, এবং আগামী জুলাই মাসে যেই রপ্তানি প্রসেস এসেছে, সেটা গত বছরের জুলাই মাসের থেকেও বেশি, এসব বিবেচনায় তিনি আশার আলো দেখছেন।  

তবে কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রাংশের আমদানি ও বিদেশি কার্যাদেশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে রফতানির এই গতি টেকসই না হওয়ারও শঙ্কা থাকছে। 

এ বিষয়ে এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, কার্যাদেশ না থাকায় আমদানির পরিমাণ কম, জুলাই মাসে যে কাজ হয়েছে তার জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছুই আগে সঞ্চয় করা ছিল, প্রয়োজনীয় কোন কিছুই আমদানি করতে হয়নি, কিন্তু আমদানি এবং রপ্তানির গতিধারা আগামী ছয় মাসের মধ্যেও স্বাভাবিক হবে।

এদিকে, অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ক্রেতাদেশগুলোতে লকডাউন শিথিল হওয়ায় জুলাইয়ে আটকে থাকা পণ্যের চালান গেছে গন্তব্য। এর প্রভাব পড়েছে রফতানি বাণিজ্যে।  

অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, রপ্তানির পরিমাণ ইতিবাচক, এমনকি গত জুলাই মাসে রপ্তানির পরিমাণ টার্গেটের চেয়েও বেশি হয়েছে, কিন্তু সেখানে নিট ওয়ারের ভূমিকা থাকলেও অন্যান্য পণ্যের দিকে নজর দিতে হবে।

করোনা মহামারীর বৈশ্বিক পরিস্থিতি উন্নতির ওপর বিশ্ববাণিজ্যের গতিশীলতা অনেকটাই নির্ভর করছে। পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হলে বাংলাদেশের আমাদানি-রফতানি বাণিজ্যও গতি পাবে বলে মত সংশ্লিষ্টদের।  

এসইউএ/এমবি


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি