ঢাকা, রবিবার   ২৭ জুলাই ২০২৫

বড় অঙ্কের ঘাটতি থাকছে নতুন বাজেটে (ভিডিও)

মেহেদী হাসান, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩৩, ৪ জুন ২০২২

Ekushey Television Ltd.

আগামী অর্থবছরে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করতে চায় সরকার। তবুও নতুন বাজেটে ঘাটতি থাকছে প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকা। যা পূরণ করা হবে দেশি-বিদেশি ঋণ ও সঞ্চয়পত্র বিক্রির মাধ্যমে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ঘাটতি পূরণে স্বল্পসুদের দীর্ঘমেয়াদী বিদেশি ঋণের পাশাপাশি রাজস্ব আদায় বাড়ানোর দিকে দিতে হবে বাড়তি মনোযোগ।

প্রায় পৌনে ৭ লাখ কোটি টাকার বিশাল বাজেট। অর্থায়নের চ্যালেঞ্জও বেশ কঠিন। বরাদ্দ অনুযায়ী দিতে হবে অর্থের যোগান। রেকর্ড লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করেই সফল হতে হবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরকে।

প্রাথমিক তথ্য বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করতে চায় সরকার। যার মধ্যে এনবিআরকে জোগাড় করতে হবে প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। বাকি রাজস্ব আসবে এনবিআর-বহির্ভূত খাত থেকে। তবুও ঘাটতি থাকছে ২ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা। 

ঘাটতি পূরণে বরাবরের মতো এবারও দেশি-বিদেশি ঋণ ও সঞ্চয়পত্র বিক্রির ওপরই নির্ভর করতে হচ্ছে। বিদেশি উৎস থেকে ১ লাখ ১৬ হাজার কোটি এবং ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে প্রায় ৯৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিতে চায় সরকার।   

টাকার অংকে বড় দেখালেও জিডিপির সাড়ে পাঁচ শতাংশের মধ্যেই থাকছে বাজেট ঘাটতি। তবুও বাজেটের অর্থায়ন-ঝুঁকি কমাতে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির দিকেই বাড়তি নজর দেয়ার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।

অর্থনীতিবিদ ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, “যে সমস্ত লোকদের টিআইএন আছে অথচ ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন দিচ্ছে না তাদেরকে পারসু করে কর আদায় করা উচিত। দ্বিতীয়ত হচ্ছে ভ্যালু অ্যাডের ট্যাক্সের ক্ষেত্রে অনেক প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন নাই, যাদের রেজিস্ট্রেশন আছে তারা অনেকেই রিসিড দেয় না।”

কর-ব্যবস্থাপনায় সংস্কার, কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও অপচয়-অনিয়মরোধের পাশাপাশি উদ্ভাবনী কৌশলের ব্যবহার চান তারা। বাজেট বাস্তবায়নে স্বল্পসুদের দীর্ঘমেয়াদী বিদেশি ঋণের পক্ষে মত তাদের।

অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “যারা কর দেন না তাদের কাছ থেকে কিভাবে কর আদায় করতে পারি, কর ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা আছে, দুর্নীতি আছে। এগুলো কমিয়ে সরকারের আয় বৃদ্ধি করতে পারি।”

ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, “সঞ্চয়পত্রটা খুব ব্যয়বহুল, এখানে ইন্টারেস্ট অনেক বেশি। ব্যাংকিং খাত থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার সুযোগ আছে। তবে এটা বেশি মাত্রায় গেলে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি যাতে আরও না কমে যায় সেদিকটা খেয়াল রাখার দরকার আছে।”

২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকা বাজেট দিতে যাচ্ছে সরকার। যা দেশের মোট জিডিপির প্রায় সাড়ে ১৫ শতাংশ।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি