ঢাকা, শুক্রবার   ০৯ মে ২০২৫

শেষ দিনে জমজমাট  থাই মেলা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:২৮, ২৬ এপ্রিল ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

শেষ দিনে জমজমাট হয়ে উঠেছে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে চার দিনব্যাপী থাই পণ্যের মেলা। শেষ মুহূর্তে ক্রেতারা পছন্দের পণ্যটি খুঁজতে এক স্টল থেকে অন্য স্টলে ঘুরছেন। পছন্দ হলে দরকষাকষি করছেন, আবার কিনেও নিচ্ছেন। কেনাবেচার ফাঁকে কেউবা আবার সেলফি তোলায় ব্যস্ত থাকছেন।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেকে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সাড়া পেয়েছেন। শেষ দিন সন্ধ্যায় উদ্বোধনী মঞ্চে ফ্যাশন শোর আয়োজন করা হয়। গত সোমবার থেকে শুরু হয় ‘থাইল্যান্ড উইক-২০১৭’ নামে চার দিনের এ থাই পণ্যমেলা। বাংলাদেশের থাই দূতাবাসের সহায়তায় থাইল্যান্ডের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য উন্নয়ন বিভাগ এই মেলার আয়োজন করে। এবারের মেলা ছিল ১৭তম আয়োজন।আজ মেলা ছিল সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত।

মেলায় কসমেটিকস, গার্মেন্টস ও ফ্যাশন, জুয়েলারি থেকে শুরু করে খাদ্য ও পানীয়, সেবাপণ্য প্রদর্শিত হয়। মেলা প্রাঙ্গণে ইসমাইল এন্টারপ্রাইজ লেদারস মার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইসমাইল আলী বলেন, মেলায় অর্ধশতাধিক বুকিং মিলেছে। এবার মেলায় আমরা চারটি পণ্য কিনলে একটি পণ্য ফ্রি দিচ্ছি।

মেলায় রয়েল কিনারি স্টলে বিক্রি হচ্ছে  বিভিন্ন আয়ুর বেদিক ঔষধ প্রসাধনী। স্টলটিতে ক্রেতাদের ঝোঁক বিভিন্ন ব্যাথার ঔষদ হিসেবে প্রদর্শীত মলম। মাসেল ব্যাথা, গিরা, আঘাত পাওয়া ও কম্পিউটার বা মোবাইলের  স্ক্রিনে তাকালে সৃষ্ট কপাল ব্যথার ঔষধ। ছাড়দিয়ে এ ঔষদটি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৩শ’ টাকা।

স্টল থেকে ব্যাথার চারটি কৌটার এ প্যাকেজ ক্রয় করলে হালিমা রহমান। তিনি বলেন, পরিবারে সব সময় কাটা-ছেড়া বা ব্যাথা জনিত রোগ লেগেই থাকে। বাংলাদেশের অনেক মলম তো ব্যবহার করি।  মেলায় এ থাই ঔষধ মনে হয় আরো ভালো উপকারে আসবে।

অলংকার ও প্রসাধণী সামগ্রীর পাশাপাশি থাই পণ্যের মেলায় ভিন্ন স্বাদের আচার ও মুখরোচক নানা খাদ্য পণ্য মন কেড়েছে ক্রেতা -দর্শনার্থীদের। খাদ্য পণ্যের দাম কিছুটা বেশি হলেও খালি হাতে ফিরেন নি কেউ। মেলায় নারীদের প্রধান আকর্শন ডিজাইনে বৈচিত্র্য ও হাল ফ্যাশনের হওয়ায় থাই পাদুকা পণ্য ও লেডিস ব্যাগের প্রতি। মেলা উপলক্ষ্যে ছাড় থাকায় সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি অনেকে। পছন্দের পণ্যটি কিনতে থাই জুয়েলারি, কসমেটিকস ও প্রসাধনী সামগ্রীর স্টলে ব্যস্ত দেখা গেছে নানা বয়সী নারী ক্রেতাদের।

নিত্য ব্যবহারের প্রয়োজনীয় প্রসাধনী কেনার ক্ষেত্রে পণ্যের মানের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন ক্রেতারা। মেলায় আগত সানজিদা আফরিন বলেন, আমরা থাই পণ্য ব্যবহার করি। এখানে এসব ছাড়ে পাওয়া যাচ্ছে। তাই একটি বডি স্প্রে ও  ব্যাগ কিনে নিলাম। দাম কমই মনে হলো।

এটলাস ট্রেডিং কর্পোরেশনের বিক্রেতা আরিফুর রহমান শুভ বলেন, আমাদের বিক্রি ভালো হয়েছে। আশা করি আজকের তুলনায় আগামীকাল আরও বেশি ক্রেতা পাব। এখানে আমরা ২৫ শতাংশ ডিসকাউন্ট দিচ্ছি।

মেলায় নাম অজানা রকমারি পদের বাহারি ফল, আচার ও ড্রাই ফুডের জন্য খাদ্য পণ্যের স্টলগুলোত দেখা গেছে ক্রেতাদের ভিড়। বিক্রি ভালো হওয়ায় সন্তুষ্ট অংশগ্রহণকারীরা। মেলায় আসা নাবিলা আক্তার বলেন, ড্রাগন ফ্রুটটা অনেক প্রাইসি। নানা ধরণের আম দেখলাম। আবার পেপে দেখলাম। আচার দেখলাম। আমার কাছে বিভিন্ন ধরণের আচার খুবই ভালো লেগেছে। সচারচর এগুলো বাইরে পাওয়া যায় না।

এবারের মেলায় থাইল্যান্ডের ৪৫টি ও বাংলাদেশের ২৭টি প্রতিষ্ঠান থাই পণ্যের প্রদর্শনী করছে। মেলায় স্টলের সংখ্যা ৭৯টি। মেলায় প্রবেশ সবার জন্য উম্মুক্ত ছিল। মেলা আজ শেষদিন রাত ৯ টা পর্যন্ত উম্মুক্ত থাকবে।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি