ঢাকা, রবিবার   ১২ মে ২০২৪

বেজা’র আওতায় ‘হোসেন্দি ইকোনমিক জোন’র লাইসেন্স প্রদান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৩২, ১ জানুয়ারি ২০২০

দেশের দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং বিপুল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের মাধ্যমে অর্থনীতিতে অবদান রাখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বর্তমান সরকার নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। পরিকল্পিত শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান, উৎপাদন এবং রপ্তানি বৃদ্ধি ও বহুমূখীকরণে উৎসাহ প্রদানের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। 

বিনিয়োগকারীদের শিল্প স্থাপনের সুবিধার্থে বেজা আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ৩০ হাজার হেক্টর জমির উপর ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় এক কোটি লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ মূল্যের পণ্য ও সেবা উৎপাদন/রপ্তানি করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে বেজা ইতোমধ্যে ২০ টি বেসরকারী অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রি-কোয়ালিফিকেশন লাইসেন্স প্রদান করেছে যার মধ্যে ১০টি বেসরকারী অর্থনৈতিক অঞ্চলকে শিল্প স্থাপনে চূড়ান্ত লাইসেন্স প্রদান করেছে এরই ধারাবাহিকতায় সিটি গ্রুপের সহযোগি প্রতিষ্ঠান “ হোসেন্দি ইকোনমিক জোন” এর লাইসেন্স প্রদান করা হয়। 

মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার চর বেতাকি, ভবানিপুর,রগুরচর ও হোসেন্দি মৌজা নিয়ে প্রস্তাবিত হোসেন্দি  ইকোনমিক জোন এর অবস্থান চিহ্নিত করা হয়েছে।  হোসেন্দি  ইকোনমিক জোন পাশ দিয়ে মেঘনা নদী প্রবাহমান।   হোসেন্দি  ইকোনমিক জোনের আয়তন  ১০৮.০৫৭ একর। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জামালদি বাস স্ট্যান্ড হতে মাত্র ২.৭ কিলোমিটার ,  হজরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হতে ৪৩,  চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর হতে মাত্র ২১৭ কিলোমিটারের মধ্যে হোসেন্দি ইকোনমিক জোন এর অবস্থান।  উদ্যোগক্তাগণ প্রস্তাবিত ইকোনমিক জোনে  Salt and Chemical Industry, Pre-Fabricated Industries, Cement Industry, Dock & Ship yard based industries ceramic Industry, Light Engineering/Automobile, Paper Mills  খাতসমূহকে সর্বাপেক্ষা গূরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে সমীক্ষা প্রতিবেদনে  উল্লেখ করেছেন। মাষ্টার প্ল্যানে Indistrial Area ৬৩.৩৯%,  Specialized infrastructure ৪.৫১%, Utility ১৭.১০% Amenities ১৫% দেখানো হয়েছে । 

জোনটি সফল বাস্তবায়নের হলে প্রায় ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার  মার্কিন ডলার বিনিয়োগ হবে যার মাধ্যমে সরাসরি প্রায় ১০১২৪ জন  লোকের এবং পরোক্ষ ভাবে আরোও প্রায় ৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে মর্মে প্রতিবেদনে বলা হয়। হোসেন্দি  ইকোনমিক জোনের মাষ্টার প্ল্যানে গ্রিন ইকোনমিক জোন ধারনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে যথেষ্ঠ পরিমান উন্মুক্ত স্থান, বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা, ETP, STP সহ   শিশু যত্ন কেন্দ্রের জন্য নির্দিষ্ট স্থান রাখা হয়েছে।  

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী। এছাড়া অনুষ্ঠানে বেজার নির্বাহী সদস্য মো. হারুনুর রশীদ, আশোক কুমার বিশ্বাস ও সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুল রহমান উপস্থিত ছিলেন। 

সভাপতির বক্তব্য পবন চৌধুরী সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রদান করে বলেন, হোসেন্দি ইকোনমিক জোনে প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১৫০০০ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তিনি বেসরকারী অর্থনৈতিক অঞ্চলে দেশী, বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। 

হোসেন্দী ইকোনমিক জোনের চেয়ারম্যান শম্পা রহমান বলেন বেজা ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আন্তরিক সহযোগিতায় হোসেন্দি ইকোনমিক জোনকে একটি আদর্শ বেসরকারি ইকোনমিক জোন হিসাবে গড়ে তোলা হবে এবং এ জোন প্রতিষ্ঠার  মাধ্যমে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। 

আরকে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি