ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ইভ্যালির দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:১৯, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০

প্রতিষ্ঠার দুই বছর পেরিয়ে তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ করলো দেশীয় ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস ইভ্যালি ডট কম লিমিটেড। এ উপলক্ষ্যে নানা আয়োজনে নিজেদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করলো প্রতিষ্ঠানটি। 

বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে সীমিত পরিসরে নানান আনুষ্ঠানিকতায় দিনটি উদযাপিত হয়।

আয়োজনের শুরুতেই মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

ইভ্যালি সূত্রে জানা যায়, করোনা পরিস্থিতিতে বড় ধরনের কোন আয়োজনের পরিবর্তে নিজস্ব কর্মী এবং সীমিত সংখ্যক গ্রাহক ও বিক্রেতা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এছাড়াও দেশের ই-কমার্স, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
 
এসময় ইভ্যালির সেরা বিক্রেতাদের মধ্যে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয় এবং এ বছরের সেরা বিক্রেতা হিসেবে ফেয়ার ইলেকট্রনিক্সের নাম ঘোষণা করেন ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল। এছাড়াও সেরা বিক্রেতাদের মধ্যে পিএইচপি গ্রুপ, হিরো, রানার, টিভিএস, কোকাকোলা, পারটেক্স গ্রুপ, ফ্লোরা লিমিটেড, আফতাব গ্রুপ, আখতার ফার্নিচারের মতো আরও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করে সম্মানিত করা হয়।

অনুষ্ঠানে মহান বিজয় দিবস এবং শহীদের স্মরণ করে ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে যেমন বাংলাদেশের জন্ম হতো না তেমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্ম না হলে হয়তো ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্ম হতো না।’ 

তিনি আরও বলেন, আজ আমরা খুবই আনন্দিত যে আমরা সফলতার সাথে দুই বছর পার করলাম এবং এই সফলতার পেছনের সব থেকে বড় অবদান ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট সজিব ওয়াজেদ জয়। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম দেশকে যেভাবে ডিজিটালি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, সেই অনুপ্রেরণা থেকেই আজকের এই ইভ্যালির জন্ম।’

ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী বলেন, আজকে সফলতার সঙ্গে ইভ্যালির এগিয়ে চলা সম্ভব হয়েছে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, ইক্যাব, বেসিস, সকল মিডিয়া, গ্রাহক এবং বিক্রেতাদের আন্তরিকতার জন্য। আর সকল গ্রাহক ও বিক্রেতাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে ইভ্যালীর দক্ষ কর্মীরা। আমি সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

মোহাম্মদ রাসেল আরও বলেন, ইভ্যালি সমগ্র ই-কমার্সে ৭০ শতাংশ সেবা প্রদান করে, গত দুই বছরে প্রায় ৩৫ লাখ ইউনিক অর্ডার ডেলিভারি করে এবং ভবিষ্যতে ইভ্যালি জিডিপিতেও বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।

প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন বলেন, মাত্র সাত থেকে আট জন সদস্য নিয়ে শুরু হওয়া ইভ্যালি আজ আট শতাধিক সদস্যের পরিবার। তবে আমাদের আরও পথ পাড়ি দিতে হবে। এই দেশের প্রতিটি অঞ্চলে, আনাচে-কানাচে ই-কমার্সকে নিয়ে যেতে হবে। 

গ্রাহক এবং বিক্রেতারা আমাদের যেভাবে সাহায্য করে যাচ্ছেন, আমাদের উপর আস্থা রাখছেন তাতে আমাদের বিশ্বাস ইভ্যালি সেই গুরু দায়িত্ব অল্প সময়ের মাঝেই সফলভাবে পালন করতে সক্ষম হবে বলে উল্লেখ করেন ইভ্যালির চেয়ারম্যান।
 
সবশেষে কেক কাটার মধ্যে দিয়ে দিনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।
এএইচ/এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি