ঢাকা, সোমবার   ২০ মে ২০২৪

সমাজ সচেতনতায় কাজ করবে ঢাবির ৬১০ শিক্ষার্থী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৩৬, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৬:২০, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭

সমাজ সচেতনতামূলক কার্যক্রমে মাঠে নামছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৬১০ জন শিক্ষার্থী। তারা নিজ নিজ উপজেলা বা গ্রামে এই কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এই কার্যক্রমে উৎসাহিত করতে তাদের বৃত্তি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের এ সংগঠন ‘শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য বৃত্তি’ শিরোনামে ২০১৫-’১৬ শিক্ষাবর্ষে ৭০৪ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিয়েছে। ২০১৭ সালে এ বৃত্তি পান আরও ৫৩০ জন শিক্ষার্থী।
আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনের সংগঠনটি জানায়, আগামী ৪ বছরের জন্য এ বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। প্রতিজন শিক্ষার্থী মাসে আড়াই হাজার টাকা করে বৃত্তি পাবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্বচ্ছল, শারীরিকভাবে পিছিয়ে পড়া কিন্তু মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ বৃত্তি দেওয়া হয়। তবে এ বৃত্তি পাওয়ার তিনটি শর্ত আছে। প্রথমটি হচ্ছে, বৃত্তিপ্রাপ্তদের ভালো মানুষ হতে হবে। দ্বিতীয়ত, তাদের শিক্ষা জীবনে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সময় তাদের নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে সমাজ সচতেনতামূলক কার্যক্রম করতে হবে। আর তৃতীয়টি হচ্ছে, যারা বৃত্তি পাচ্ছে তারা কর্মজীবনে প্রবেশের ৪ বছর পর নিজেরা একজন দরিদ্র শিক্ষার্থীর পড়াশোনার খরচ যোগাবেন। 
এই শর্তেরই অংশ হিসেবে বৃত্তিপ্রাপ্ত ৬১০জন শিক্ষার্থী আগামী ২৫ ডিসেম্বর থেকে ৩০ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৬দিন সামাজিক সচেতনামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
এ বৃত্তি প্রদানের অন্যতম উদ্যোক্তা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের অর্থ কমিটির আহবায়ক আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী কিন্তু অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের যেন পড়াশুনার ক্ষতি করে অন্য কোথাও কাজ করতে না হয় সে জন্যই আমাদের এ বৃত্তি প্রদানের উদ্যোগ। আর সেসাথে তারা যেন সমাজ উন্নয়নে অংশ নিতে পারে তাই তাদেরকে নিয়ে আমাদের এ কার্যক্রম।”
কার্যক্রমের বিস্তারিত উল্লেখ করে আনোয়ারুল আলম বলেন, “প্রতিটি শিক্ষার্থী ১৬০টি দলে ভাগ হয়ে দেশের ৮টি বিভাগের ৬০টি জেলায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। তাদের নিজ নিজ এলাকার শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান এবং গ্রাম পর্যায়ে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান পরিচালনা করবে। সমাজের গুরুত্বপূর্ণ এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে আলোচনা করবে। আর তারা রাজধানীতে ফিরে এসে সেসব কার্যক্রমের প্রতিবেদন আমাদেরকে দিবে”।
সংগঠনটির মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার বলেন, “সমাজ উন্নয়নে এবং সচেতনতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি দায়বদ্ধতা অনুভব করে। সেই দায় থেকে খানিকটা দায়মুক্ত হতেই আমাদের এই ছোট উদ্যোগ। অন্যদিকে এসব শিক্ষার্থীরা যখন কর্মজীবন শুরু করবে তখন সহ-শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ স্বেচ্ছাশ্রমের অভিজ্ঞতা তাদের কাজে আসবে”।
“যার যার ধর্ম তার তার কাছে, বিভেদ নয় নিজেদের মাঝে” এবং   “সব কাজে গর্ব আছে, নিজের কাজে দেশ বাঁচে” এ দুইটি স্লোগানকে এবারের কার্যক্রমের মূল প্রতিপাদ্য হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। আগামী জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে এসব শিক্ষার্থীদের কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা সবার সামনে তুলে ধরতে ঢাবি টিএসসি অডিটোরিয়ামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজনের কথাও জানান সংগঠনটির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম-মহাসচিব আমিনুর রহমান মাইকেল, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ, ড.তাপস পাল, কাজী মোয়াজ্জেমসহ আরও অনেকে।
একে/

 


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি