ঢাকা, সোমবার   ২০ মে ২০২৪

বশেমুরবিপ্রবিতে ভিসির পক্ষে শিক্ষকদের বিবৃতি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:২৫, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১৯:০৪, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ভিসির পক্ষে সাধারণ শিক্ষকবৃন্দ বিবৃতি দিয়েছেন। এতে বর্তমান পরিস্থিতির জন্য গভীর উদ্বেগ প্রকাশ এবং শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন শিক্ষকবৃন্দ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৩০০ শিক্ষকের মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষকই এই বিবৃতির পক্ষে মত দেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর তারিখ থেকে বশেমুরবিপ্রবি-তে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, একাডেমিক পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে আমরা সাধারণ শিক্ষকগণ এর সঙ্গে একমত পোষণ করছি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের সকল দাবি মেনে নেয়ার পরেও কতিপয় স্বার্থান্বেষী শিক্ষকদের সরাসরি ইন্ধনে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলমান রাখা অনভিপ্রেত বলে সাধারণ শিক্ষকগণ মনে করছি।

আন্দোলনকারীদের শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ সম্পর্কে তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কখনও উপাচার্যের একক সিদ্ধান্তে হয় না। সেজন্য নিয়োগ বোর্ড আছে। তারপর বোর্ডের সিদ্ধান্ত রিজেন্ট বোর্ডে পাস হয়। যেখানে দেশবরেণ্য অধ্যাপক, শিক্ষাবিদ ও স্থানীয় এমপি যুক্ত থাকেন। তাদের সম্মিলিত মতামতের ভিত্তিতেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সাধিত হয়।

এই বিবৃতিতে শিক্ষকবৃন্দ বলেন, ঝিলিক নামে যে আয়াকে জড়িয়ে উপাচার্যকে অপবাদ দেয়া হচ্ছে, সেই ঝিলিকই কিন্তু পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলন করে স্বীকার করে নিয়েছে যে, স্থানীয় কিছু মানুষের ষড়যন্ত্রে অর্থের বিনিময়ে এই মিথ্যাচারটি করেছে। যার জন্য সে ক্ষমাও চেয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল নির্মাণে যে দুর্নীতির কথা বলা হচ্ছে, সে ম্যুরাল নির্মাণ শুরু হয়নি এবং এর জন্য বরাদ্দের কোন টাকাও তোলা হয়নি। কিন্তু কি কারণে এই অভিযোগ তুলছে তারা। তা আমাদের বোধগম্য নয়।

ইতোপূর্বে সাধারণ শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বারবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করতে চাইলেও শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের সঙ্গে অসহযোগিতা করে এবং অশোভন আচরণ করে। তদুপরি আমরা সাধারণ শিক্ষকগণ উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে সব সময় সর্বাত্মক ও আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, গত ১১ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। গত বুধবার জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ তুলে নিলেও ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। যা এখনো চলমান রয়েছে।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি