ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

সংখ্যা নয়, গুণগত উন্নয়ন চাই: বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য

বশেমুরবিপ্রবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ২৩:৩৯, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) আসন সংখ্যা কমিয়ে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৬০০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। গত শিক্ষাবর্ষে যার আসন সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৭০। সেই হিসেবে এ বছর আসন সংখ্যা কমিয়ে প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনা হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব বলেন, ৫৫ একরের এই ছোট বিশ্ববিদ্যালয়ে আগের শিক্ষাবর্ষগুলোতে প্রচুর শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। পরবর্তী ভর্তি পরীক্ষা থেকে এ সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে। বিজ্ঞান অনুষদের প্রতি বিভাগে ৩৫ থেকে ৪০ জন এবং মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে প্রতি বিভাগে ৫০ করে ৬০ জন করে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৬০০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এছাড়া প্রতিটি শ্রেণিকক্ষ আধুনিকায়ন করা হবে। মাস্টার প্লানিংয়ের মাধ্যমে অত্যাধুনিক হল নির্মাণ করা হবে। আমরা কোয়ান্টিটি নয়, কোয়ালিটি দেখতে চাই।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোসহ আশেপাশে স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের ব্যবস্থা নেই, শরীরচর্চা কিংবা খেলাধুলারও তেমন ব্যবস্থা নেই। এ বিষয়ে উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের ব্যবস্থা অবশ্যই করা হবে। সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে যতদূর সম্ভব ভর্তুকিও দেওয়া হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে বড় খেলার মাঠটি রয়েছে, সেটিকে আধুনিকায়ন করার পরিকল্পনা নিয়েছি। ভবিষ্যতে এ মাঠে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় টুর্নামেন্টের আয়োজন করা যাবে।

আইসিটি ইনস্টিটিউটকে পুরোপুরি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এটিকে পুরোপুরি একটি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে পরিণত করা হবে, যেখানে দেশ বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণার্থীরা আবাসিক কিংবা অনাবাসিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবে৷ ইতোমধ্যে এই উদ্যোগটি নেয়া হয়েছে যেটি এখন প্রস্তাবনায় আছে যার জন্য জমি অধিগ্রহনের প্রয়োজন পড়বে। যাচাই-বাছাই শেষে এটি চূড়ান্ত রুপদান করবে বলে আশাবাদী আমি। অন্যদিকে একটি উন্নতমানের এবং অধিক আসন বিশিষ্ট একটি অডিটোরিয়াম করা হবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, এটিকে রিভাইজ করা হচ্ছে, সেটি বশেমুরবিপ্রবির অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের ৩য় ফেজে সম্পন্ন হবে।

অপরদিকে এক দশক ধরে শিক্ষা-কার্যক্রম চলা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে মাত্র একজন পূর্নাঙ্গ অধ্যাপক রয়েছেন। গবেষণা কার্যক্রমেও নেই তেমন অগ্রগতি। এ সকল বিষয়ে উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুব বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রার জন্য অধ্যাপকের কোনো বিকল্প নেই। চুক্তিভিত্তিক অধ্যাপক নিয়োগের পাশাপাশি অনলাইনে ক্লাস নিতে পারবেন এমন অধ্যাপকদেরও নিয়োগ দেওয়া হবে। আর গবেষণার দায়িত্ব দেওয়া হবে শুধুমাত্র অভিজ্ঞ শিক্ষকদের। একজন অভিজ্ঞ শিক্ষক যেমন সফলভাবে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন তেমনি শিক্ষার্থীদের গবেষণার কাজে দক্ষও করে তুলতে পারেন।

উপাচার্য আরও বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়কে কাজে লাগিয়ে এই অঞ্চলের পাশাপাশি বৃহত্তর ফরিদপুরসহ আশেপাশের অঞ্চলে স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধি, বেকারদের দক্ষ করে গড়ে তোলার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টি যাতে এ অঞ্চলের আর্ত সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে সে লক্ষে কাজ করে যাবো।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি