নানা সংকটে ইবির সাংস্কৃতিক অঙ্গন
প্রকাশিত : ১৪:৪২, ১৯ অক্টোবর ২০২২
পুঁথিগত শিক্ষার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম হিসেবে সংস্কৃতি চর্চা শিক্ষার্থীদের সৃষ্টিশীল ও আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করে। অথচ নানাবিধ সংকট আর সীমাবদ্ধতার দরুন নিস্তেজ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাংস্কৃতিক অঙ্গন।
প্রতিষ্ঠার ৪৩ বছর পরেও নিজস্ব কোনো সাংস্কৃতিক বলয় গড়ে তুলতে পারেনি স্বাধীনতোত্তর বাংলাদেশের প্রথম এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়টি। এমনই অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
সাংস্কৃতিক অঙ্গনগুলো সমৃদ্ধ করতে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে তেমন কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ নেয়নি। অবহেলার স্বাক্ষী হয়ে আছে ইবি সাংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র বাংলা মঞ্চ।
সন্ধ্যা নামার আগেই নিরাপত্তার কথা বলে বন্ধ করে দেওয়া হয় সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানগুলো এমন কথা জানান শিক্ষার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার, নৃত্যাঙ্গন, সাংস্কৃতিক ঐক্য মঞ্চ, ফটোগ্রাফিক সোসাইটি, চলচ্চিত্র সংসদ, আবৃত্তি’র মতো বেশ কিছু সাংস্কৃতিক সংগঠন রয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন অনুষ্ঠান, সভা, সেমিনার আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হয় না তাদের।
সংগঠনগুলোর নিজেদের উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেও তাদের জন্য নেই কোনো কক্ষ বরাদ্দ। এসব কারণে সস্কৃতিবিমুখ হয়ে পড়ার ঝঁকিতে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি তৌফিক আহমেদ বলেন, “যে কোন সাংস্কৃতিক সংগঠন পরিচালনার জন্য অর্থের প্রয়োজন হয়। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের কোন আর্থিক প্রণোদনা দেয় না। শুধুমাত্র সংগঠনের সদস্যদের চাঁদা দিয়ে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব নয়।”
বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটারের সভাপতি আব্দুল মমিন নাহিদ বলেন, “আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ শিল্পী রয়েছে। কিন্তু, আমাদের ভালো উদ্যোগ, কাজ করার মানসিকতা থাকার পরেও শুধুমাত্র অর্থ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তেমন কোন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছি না।”
এবিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, “আমাদের কাছে কেউ কোনো ধরণের সহযোগিতা চাইতে আসেনি। তাদের কী ধরণের সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন তা যদি জানায় এবং সেটা যৌক্তিক হলে অবশ্যই তাদের সহযোগিতা করা হবে। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক কার্যক্রম চলমান থাকুক।”
এএইচ
আরও পড়ুন