ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৯ আগস্ট ২০২৫

‘মিটু? কোনও কিছুই ইচ্ছের বাইরে হয় না’ 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০০:০১, ২৮ নভেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ০০:০৯, ২৮ নভেম্বর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

আগে সবাই আমাকে শর্বরীদি বলত। এখন সবাই ‘গুরুমা’ বলে। একটা চরিত্রের এই ভয়ঙ্কর পপুলারিটি, এটা তো গ্রেট অ্যাচিভমেন্ট। এটা ৪৬ সপ্তাহ চলছে আমাদের। সব চ্যানেলের মধ্যে আমাদের হায়েস্ট টিআরপি। বললেন শর্বরী মুখোপাধ্যায়। টেলিভিশন, নাটক, রাজনীতি সব ক্ষেত্রেই রয়েছে তার অবাধ বিচরণ।     

এক সাক্ষাৎকারে ‘মিটু’ নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি ১৯ বছর ধরে কাজ করছি এখানে। খুব দায়িত্ব নিয়ে বলছি, আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে কখনও কোনও কিছু ইচ্ছের বাইরে হতে পারে না। এটা এত দিনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। মতের বাইরে গিয়ে কোনও কিছু করতে বাধ্য করা হয়েছে বলা হলে, সেটা সম্পূর্ণ অপপ্রচার।’    

নিজের কাজ সম্পর্কে শর্বরী বলেন, আমার এমনও অভিজ্ঞতা রয়েছে, ২২ ঘণ্টা টানা শুট করেছি সেটা টানা ২২ দিন। এখন যে সময়টা ১৪ ঘণ্টায় সীমাবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে, এতে কাজের কোয়ালিটিও ভাল হয়েছে। বিশ্রাম পাচ্ছেন শিল্পীরা। অনেক স্মুথ হয়েছে গোটা ব্যাপারটা। আমরা প্রত্যেকে মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে রেমুনারেশন পেয়ে যাচ্ছি। ১৪ ঘণ্টার বেশি খুব একটা কাজ হচ্ছে। রাত ১০টার মধ্যে বেশিরভাগ শুটিং শেষ হয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, থিয়েটার আমার জীবনের চালচিত্র। আসানসোলে বাড়ি ছিল আমাদের। আমি-বাবা-মা-ভাই চারজনেই থিয়েটার করতাম। আমার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের প্রেম বাবার হাত ধরেই। অভিনয়টা করতেই হবে, এটাও বাবার হাত ধরেই শেখা। সন্ধেবেলা ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করে। আমি জানতাম সন্ধেটা রিহার্সালের টাইম। রাত্তিরে পড়ব, ভোরবেলা উঠে পড়ব। সন্ধেবেলা থিয়েটার করব। এ ভাবেই বড় হয়েছি। আমার থিয়েটার দল রয়েছে, ‘তিতাস’। আমাদের প্রথম প্রোডাকশন ছিল বাদল সরকারের সারা রাত্তির। তার পর আরও তিনটে নাটক করি। সামনেই মঞ্চস্থ হবে আমাদের পঞ্চম প্রযোজনা, ‘তবু অনন্ত জাগে’। পরিচালক আবির। আনন্দবাজার

এসি  

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি