বারডেমে চালু হলো বহির্বিভাগ মেডিসিন ফার্মেসি,স্বল্পমূল্যে মানসম্মত ঔষধের প্রতিশ্রুতি
প্রকাশিত : ১৭:৩৫, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৭:৩৭, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
বারডেমে চালু হলো বহির্বিভাগ মেডিসিন ফার্মেসি,স্বল্পমূল্যে মানসম্মত ঔষধ নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি
বাংলাদেশের শীর্ষ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান বার্ডেম জেনারেল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো নিজস্ব তত্ত্বাবধানে বহির্বিভাগ মেডিসিন ফার্মেসির সেবা চালু করা হয়েছে। রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই উদ্যোগকে রোগীবান্ধব স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখছেন।
বার্ডেম সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন গড়ে চার হাজারের বেশি রোগী চিকিৎসাসেবা গ্রহণের জন্য হাসপাতালে আসেন। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের নিজস্ব ইনডোর বা আউটডোর ফার্মেসি না থাকায় রোগীদের বাইরে গিয়ে ঔষধ সংগ্রহ করতে হতো। এতে উচ্ছে মূল্য, মানসম্মত ও নির্ভরযোগ্য ঔষধ না পাওয়া এবং অন্যান্য ভোগান্তির শিকার হতে হতো রোগী ও তাদের স্বজনদের।
এই প্রেক্ষাপটে হাসপাতালের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বহির্বিভাগ মেডিসিন ফার্মেসি চালু হওয়ায় রোগীদের জন্য স্বস্তির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
হাসপাতালের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মির্জা এম হাসান ফয়সাল অনুষ্ঠানে বলেন, “বার্ডেম হাসপাতালে আগত রোগীদের যথাযথ, নিরাপদ ও স্বল্পমূল্যে ঔষধ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতেই এই ফার্মেসি চালু করা হয়েছে। এর ফলে রোগীরা হাসপাতাল চত্বরেই নির্ভরযোগ্য ঔষধ সংগ্রহ করতে পারবেন। আমরা বিশ্বাস করি, এই উদ্যোগ হাসপাতালের সেবার মান ও সুনাম আরও বৃদ্ধি করবে।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফারিয়া আফসানা, বার্ডেম হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) নাসির উদ্দীন আহমেদ, বার্ডেম অফিসারস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি ডাঃ মোঃ মোর্শেদ উদ্দিন আকন্দসহ হাসপাতালের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের প্রফেসর ও অধ্যাপক চিকিৎসকরা।
ফারিয়া আফসানা বলেন, “আমাদের লক্ষ্য রোগীদের জন্য স্বল্পমূল্যে মানসম্মত ঔষধ সরবরাহ করা। নতুন এই ফার্মেসি রোগীদের সুবিধা নিশ্চিত করবে এবং বার্ডেমের স্বাস্থ্যসেবার মান আরও উন্নত করবে।”
বক্তারা আরও জানান, নতুন ফার্মেসির মাধ্যমে রোগীরা সহজে প্রয়োজনীয় ঔষধ সংগ্রহ করতে পারবেন। ফার্মেসি পরিচালনায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও মান নিয়ন্ত্রণ সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে। এই উদ্যোগ শুধু রোগীদের ভোগান্তি কমাবে না, বরং দেশের স্বাস্থ্যসেবায় বার্ডেম হাসপাতালের বিশ্বাসযোগ্যতা ও নেতৃত্বের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করবে।










