ঢাকা, রবিবার   ১৩ জুলাই ২০২৫

সাবেক প্রধানমন্ত্রী হারিরি হত্যায় একজন দোষী সাব্যস্ত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৩৬, ১৮ আগস্ট ২০২০ | আপডেট: ২৩:৩৯, ১৮ আগস্ট ২০২০

হারিরির হত্যার পর বৈরুতে ব্যাপক সরকার বিরোধী প্রতিবাদ হয়।

হারিরির হত্যার পর বৈরুতে ব্যাপক সরকার বিরোধী প্রতিবাদ হয়।

Ekushey Television Ltd.

লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরিকে ২০০৫ সালে বৈরুতে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত চারজনের মধ্যে একজনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে জাতিসংঘ সমর্থিত আন্তর্জাতিক আদালত।

চারজন অভিযুক্তের মধ্যে সালিম আয়াশকে হারিরির হত্যায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। বাকি তিনজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।

জাতিসংঘ সমর্থিত একটি আন্তর্জাতিক আদালতে রফিক হারিরির হত্যার ব্যাপারে রায় দিতে গিয়ে এক বিচারক বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডে হেযবোল্লাহ গোষ্ঠীর নেতারা জড়িত ছিলেন এমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিচারক আরও বলেছেন, ১৫ বছর আগের এই হত্যাকাণ্ডে সিরিয়ান সরকার সরাসরি সংশ্লিষ্ট ছিল সেরকম প্রমাণও নেই।

চারজন অভিযুক্ত ছিলেন সালিম জামিল আয়াশ, হাসান হাবিব মেরহি, হুসেইন হাসান ওনেইসি এবং আসাদ হাসান সাবরা। বৈরুতে হারিরির যানবহরের ওপর যখন হামলা চালানো হয়, সেসময় লেবাননে সিরিয়ার ব্যাপক প্রভাবকে হারিরি চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছিলেন।

হারিরির গাড়িবহর যখন বৈরুতের সমুদ্রের সামনের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল, তখন একটি ভ্যান ভর্তি বিস্ফোরক দিয়ে ওই বহরে হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় ২২০জন আহত হয়েছিল। মারা গিয়েছিলেন রফিক হারিরি এবং আরও ২১জন।

পনের বছর আগে লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরিকে হত্যার দায়ে, নেদারল্যান্ডসে জাতিসংঘ-সমর্থিত বিশেষ ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্ত যে চার ব্যক্তিকে বিচার কাঠগড়ায় তোলা হয়, তারা লেবাননের শিয়া হেজবোল্লাহ গোষ্ঠীর নিচু পর্যায়ের সদস্য।

সন্দেহভাজনদের বিচার হয়েছে তাদের অনুপস্থিতিতে।

দুহাজার পাঁচ সালের ওই বোমা হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ এই চার ব্যক্তি অস্বীকার করেছিল। সিরিয়া সরকারও তাদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। বৈরুতে এই হামলায় ক্ষুব্ধ হয়ে সিরিয়া প্রায় ৩০ বছর পর লেবানন থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়।

এই হত্যাকাণ্ড ছিল লেবাননের জন্য একটা মোড়-ঘোরানো মুহূর্ত। কারণ ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর যে প্রতিদ্বন্দ্বী জোটের উত্থান হয়, তা পরবর্তী বছরগুলোতে লেবাননের রাজনীতিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।

ওই ঘটনার পর যে সিরিয়া-বিরোধী, এবং পশ্চিমাপন্থী দলটি আত্মপ্রকাশ করে, তার নেতৃত্ব দেন হারিরির ছেলে, সাদ হারিরি। তিনি তিন মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন।

দ্য হেগ শহরের উপকণ্ঠে যে গ্রামে এই মামলার বিচার কাজ চলছে, মঙ্গলবার সেখানে রায় দানের সময় এই বিশেষ ট্রাইব্যুনালে তিনি নিজেও যোগও দেন। চারজন অভিযুক্ত সালিম জামিল আয়াশ, হাসান হাবিব মেরহি, হুসেইন হাসান ওনেইসি এবং আসাদ হাসান সাবরা এখন কোথায় আছেন তা অজ্ঞাত।

আদালত তাদের পক্ষ সমর্থনের জন্য যে আইনজীবীদের নিয়োগ করেন তারা কৌঁসুলিদের দায়ের করা মামলা নাকচ করে দেন এই যুক্তি দেখিয়ে যে এই মামলা দাঁড় করানো হয়েছে ঘটনাভিত্তিক তথ্যের ওপর নির্ভর করে এবং সেসব তাদের সন্দেহাতীতভাবে দোষী প্রমাণ করে না।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি