ঢাকা, শনিবার   ১৮ মে ২০২৪

কলঙ্কি-কোটেশ্বর সড়কের অংশ ভেঙে ফেলছে নেপাল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:১৫, ১০ মে ২০২৩

চীনের আর্থিক সহায়তায় নির্মিত রিং রোডের অধীনের কলঙ্কি-কোটেশ্বর সড়কের অংশটি ভেঙে ফেলতে শুরু করেছে নেপাল সরকার। ই-পর্দাফাঁসের বরাতে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সড়কটি নির্মাণের চার বছর পর এটির বেজমেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে কারণে এখন এটি ভেঙে ফেলে পুনরায় নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপাল সরকার। 

দেশটির সড়ক বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বেজমেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে ইতিমধ্যেই কলঙ্কি-বলখু অংশে রাস্তা ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে।

কাঠমান্ডুর সড়ক বিভাগের অফিসের প্রধান নারায়ণ প্রসাদ নিহুরে জানিয়েছেন, রাস্তা নির্মাণের পর ওপরের স্তরে ফাটল ও ভেঙে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ কারণে রাস্তাটি ভেঙে পুনরায় নির্মাণ করা হচ্ছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন সরকার ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় তহবিল সরবরাহ করেছে। তাই বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় সড়ক নির্মাণের এই অর্থায়নের দায়িত্বভার নেপাল সরকার নেবে। প্রকল্পের এ সহায়তায় খাসিবাজার থেকে বলখু পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের লক্ষ্য রয়েছে।

নিহুরে জানান, রাস্তার বেসমেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে ওপরের স্তরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমরা এসব সমস্যা সমাধানের পরিকল্পনা করছি। এগুলো সমাধানের পর আমরা নতুন বেজসহ আবার পিচ করার কাজের দিকে এগোবো।

তিনি জানান, রাস্তাটি যখন তৈরি করা হয় তখন বেজমেন্টের ক্ষেত্রে ব্যর্থতা ছিল। যে কারণে ওপরের কালো স্তরটির আরও উন্নয়ন প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সেই ধারাবাহিকতায় রাস্তার গুণমান ভালোভাবে পরীক্ষা করার পর বিভাগ প্রয়োজনীয় উন্নয়নের নকশার কাজ শুরু করেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নেপাল সরকার এবং চীনের সাংহাই কনস্ট্রাকশন গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড ২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর একটি রাস্তা নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর করে।

চুক্তির শর্তা অনুযায়ী, চীন পাঁচ বছরের মধ্যে কোটেশ্বর থেকে কলঙ্কি পর্যন্ত আট-লেনের ১০ দশমিক ৪ কিলোমিটার রাস্তা বর্ধিত করে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছিল। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে কাজটি শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলেও ভূমিকম্প এবং অবরোধের কারণে প্রকল্পটি দুই বছর বিলম্বিত হয়।
সূত্র-এআনআই

কেআই//
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি