‘প্রয়োজনে আবারও শত্রুদের ওপর হামলার জন্য প্রস্তুত ইরান’
প্রকাশিত : ১১:৫০, ১৮ জুলাই ২০২৫

ইরানের সেনাবাহিনী ও ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) প্রয়োজনে আবারও শত্রুদের ওপর হামলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন দুই বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার সকালে দেশটির সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল আমির হাতামি এবং আইআরজিসি কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ পাকপুরের এক বৈঠকে এই বার্তা দেওয়া হয়। খবর মেহর নিউজ এজেন্সির।
বৈঠকে জেনারেল পাকপুর বলেন, “আইআরজিসি সদস্যদের মনোবল অত্যন্ত দৃঢ় এবং আমরা পূর্ণ সমন্বয়ে প্রস্তুত আছি শত্রুদের ওপর পুনরায় আঘাত হানার জন্য।”
১২ দিনের যুদ্ধে শহীদদের আত্মত্যাগ স্মরণ করে তিনি আরো বলেন, “ইরানি জনগণের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। জনগণের মহাকাব্যিক সমর্থনেই দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে জটিল যুদ্ধ ও ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে।”
“যুদ্ধের শেষদিকে ইহুদিবাদীরা প্রতিশ্রুত নরক নিজের চোখে দেখেছে” উল্লেখ করে জেনারেল পাকপুর বলেন, “আমরা আগ্রাসীদের ছাড় দেব না। যুদ্ধ যদি আবার শুরু হয়, তাহলে যেখানে থেমেছিল, সেখান থেকেই আমরা তা আবার শুরু করব।”
জেনারেল হাতামি শহীদ আইআরজিসি কমান্ডার, বিশেষ করে লেফটেন্যান্ট জেনারেল সালামির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তাদের অবদান আইআরজিসি ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।”
“শত্রুতাপূর্ণ ইহুদিবাদী রাষ্ট্র শুধু অঞ্চলের নয়, গোটা বিশ্বের জন্যই হুমকি। তারা মুসলিমদের শত্রু এবং সুযোগ পেলে আশপাশের দেশগুলোতেও আঘাত হানবে।” যোগ করেন তিনি।
সেনাবাহিনী ও আইআরজিসি হাতে-হাত রেখে ইসলামি ইরানের নিরাপত্তা, শক্তি ও মর্যাদা রক্ষায় কাজ করে যাবে বলে জানান জেনারেল হাতামি।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন ইসরাইল ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে এবং ১২ দিনব্যাপী ইরানের সামরিক, পারমাণবিক ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এরপর ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের নাতাঞ্জ, ফোরদো ও ইস্পাহানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়।
জবাবে ইরানি বাহিনী দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানায়। ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর মহাকাশ ইউনিট ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’র আওতায় ইসরায়েলের দখলকৃত এলাকাজুড়ে ২২টি পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যাতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান কাতারের আল-উদেইদ বিমানঘাঁটিতে একগুচ্ছ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যা পশ্চিম এশিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি।
সবশেষে, ২৪ জুন কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতিতে এই সংঘাত সাময়িকভাবে স্থগিত হয়েছে।
এসএস//
আরও পড়ুন