ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৭ মে ২০২৪

সু চির সামনে শেষ সুযোগ: জাতিসংঘ মহাসচিব

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:১১, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৬:৫২, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সু চি মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দিতে যাওয়া ভাষণ রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযান বন্ধে কোনো ইঙ্গিত বহন করতে পারে বলে মনে করছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এ ভাষণকেই সু চি’র ‘শেষ সুযোগ’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। জাতিসংঘ মহাসচিবের আশঙ্কা, সু চি যদি এখনই ব্যবস্থা না নিতে পারেন তবে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির হার্ড টক অনুষ্ঠানকে দেওয়া সাক্ষাকারে এসব কথা বলেন গুতেরেস।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেজ বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাসদস্যদের হামলা বন্ধে দেশটির কার্যত নেতা ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চির সামনে রয়েছে আরেকটা সুযোগ। তিনি বলেন, সু চি এখনই ব্যবস্থা না নিলে ট্র্যাজেডি ভয়ংকর রূপ নেবে।

মিয়ানমারের চলমান সহিংসতা জাতিগত নির্মূলে রূপ নিতে পারে বলে এর আগে হুঁশিয়ার করেছে জাতিসংঘ। তবে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত মাসে প্রাণঘাতী জঙ্গি হামলার বদলা নিচ্ছে তারা, বেসামরিক লোকজনকে এর লক্ষ্যবস্তু বানানো হচ্ছে না।

জাতিসংঘে চলতি সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগে জাতিসংঘের মহাসচিব বিবিসিকে বলেন, মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণেই সেনাদের সাঁড়াশি অভিযান বন্ধে শেষ সুযোগ পাবেন সু চি।

‘তিনি (সু চি) যদি অবস্থার পরিবর্তন না করেন, তাহলে আমি মনে করি এই ট্র্যাজেডি ভয়াবহ রূপ নেবে এবং এর পর নিরাশার সঙ্গে বলতে হবে, আগামী দিনে এই সমস্যা কীভাবে বদলাবে, তার দিশা আমি দেখছি না’, বলেন জাতিসংঘের মহাসচিব।

বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অবশ্যই নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরতে দেওয়া উচিত বলে অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন গুতেরেজ। তিনি আরো বলেন, মিয়ানমারে এখনো কলকাঠি নাড়ছে সেনারা এবং রাখাইনে যা চলছে তা চালু রাখতে চাপ দিচ্ছে তারা।

গত ২৪ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে একটি সেনা ও ৩০টি পুলিশ পোস্টে হামলা চালায় রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা। তাদের সংগঠন রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) এই হামলার দায় স্বীকার করে। এর পর থেকে রোহিঙ্গাদের গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিচ্ছে সেনাবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্য বাহিনীর সদস্য ও স্থানীয়রা। সেখানে নির্বিচারে খুন করা হচ্ছে নারী, শিশুসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে।

সেনাসদস্য ও তাদের দোসরদের এ হামলায় প্রাণভয়ে শনিবার পর্যন্ত চার লাখ নয় হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী হয়ে বাংলাদেশে ‌এসেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। আর এর ফলে বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে।

তথ্যসূত্র : বিবিসি।

আরকে//এআর


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি