ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৭ মে ২০২৪

সব রোহিঙ্গাকে ফেরাতে চান সু চি : ব্রিটিশ মন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৪৮, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৬:১৬, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন দেশটি সফর করে আসা ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড।

বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে মার্ক ফিল্ড বলেন, অং সান সু চি বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে চান বলে তাকে জানিয়েছেন।

মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের উপর নতুন করে সহিংসতা শুরুর পর পশ্চিমা কোনো দেশের প্রতিনিধি হিসেবে ফিল্ডই প্রথম দেশটি সফর করতে সক্ষম হন।

মিয়ানমারে সহিংসতা শুরুর পর যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র তেমন প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে বরং সু ‍চির পাশে থাকার কথা জানায়। তবে ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী ফিল্ডের মিয়ানমার সফরের ফলে পরিস্থিতি কোনদিকে যাবে তা এখন দেখার বিষয়। কারণ, ফিল্ডের মুখে এখনও সু চির প্রতি সহানুভুতির সুর।

মিয়ানমার ঘুরে আসা ফিল্ড বলেন, সু চি একটি কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে আছেন এবং তিনি আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ চাপের মধ্যে একটি ‘সঠিক লাইন’বের করার চেষ্টা করছেন।

রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে মার্ক ফিল্ড বলেন, “আমি নিজের চোখে ভয়াবহ অবস্থা দেখেছি। আমরা এখন যা করতে পারি তা হল, আমাদের বন্ধুদের দিয়ে যত সম্ভব চাপ প্রয়োগ। এই সংকট সমাধানে পর্দার অন্তরালে অনেক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে এবং এটা এখন আর একটি আঞ্চলিক ইস্যু নয়। এই পর্যায়ে আমরা সব ধরনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাব।”

বিদ্যমান প্রেক্ষাপটে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পরিবর্তে কূটনৈতিকভাবে সমস্যার সমাধানের পক্ষে যুক্তি দেন তিনি। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, সু চি যদি ব্যর্থ হন তাহলে সেনাবাহিনী ‘সর্বময় ক্ষমতার’ অধিকারী হবে এবং সম্ভাব্য সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি হবে।

ফিল্ড জানান, এখনই সহিংসতা বন্ধ, রাখাইনে মানবিক ত্রাণ সহায়তা প্রবেশের অনুমতি এবং কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নসহ তিনটি প্রস্তাব তিনি সু চি’কে দিয়েছেন।

বিগত পাঁচ দশকের বেশি সময় সামরিক শাসনে থাকা মিয়ানমারে গত বছর সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সু’ চির দল ক্ষমতায় এলেও এখনও রাষ্ট্রীয় অনেক কিছুর নিয়ন্ত্রণ দেশটির সেনাবাহিনীর হাতে।

রাখাইনে গত ২৫ আগস্ট থেকে দেশটির সেনাবাহিনীর তাণ্ডব শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। যাকে জাতিসংঘ চিহ্নিত করেছে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ হিসেবে।

ডব্লিউএন

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি