ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৭ মে ২০২৪

রোহিঙ্গাদের তহবিল সংগ্রহে হিমশিম খাচ্ছে জাতিসংঘ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৪৬, ১ অক্টোবর ২০১৭ | আপডেট: ২০:০৯, ১ অক্টোবর ২০১৭

পূর্বের তিন লাখ রোহিঙ্গার হিসাব অনুযায়ী জরুরি সহায়তা চেয়েছিল জাতিসংঘ। কিন্তু সেই অর্থ জোগাড় হতে না হতেই বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। এ প্রেক্ষাপটে তহবিল সংগ্রহে হিমশিম খাচ্ছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের ঢাকা অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রাথমিক যে ধারণার ভিত্তিতে তারা রোহিঙ্গাদের সহায়তার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন, পরিস্থিতি তার চেয়ে অনেক জটিল আকার ধারণ করেছে।

গত ৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য অন্তত ৭ কোটি  ৭০ লাখ ডলার সাহায্য চেয়েছিল। ওই সময় পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে রোহিঙ্গা সংখ্যা ছিল প্রায় তিন লাখ।

এদিকে, জাতিসংঘের ওই চাহিদার মধ্যে গত ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৩ লাখ ৬৪ হাজার ডলার জোগাড় করা সম্ভব হয়েছে। অথচ এই সময়ের মধ্যে নতুন করে আরো রোহিঙ্গা আসে। বর্তমানে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।

এ প্রেক্ষাপটে সহযোগী সংস্থাগুলোর সঙ্গে মিলে ত্রাণ পরিকল্পনা পর্যালোচনা করার কথা জানিয়েছে জাতিসংঘ।

এদিকে রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিভাগের প্রধান ও জরুরি ত্রাণ সমন্বয়ক মার্ক লোকক এবং ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক অ্যান্থনি লেক সোমবার বাংলাদেশে আসছেন। দুই দিনের সফরে তারা শরণার্থী শিবিরে গিয়ে রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি ও সঙ্কটের মাত্রা নিজের চোখে দেখবেন।

সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে আসছেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক রবার্ট ওয়াটকিনস।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা-আইওএম এবং তাদের সহযোগী সংস্থাগুলো বলছে, বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এখনও কয়েক লাখ রোহিঙ্গার জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা যায়নি। অসংখ্য রোহিঙ্গা খোলা আকাশের নিচেই দিন কাটাচ্ছে। তাদের কাছে খাবার, চিকিৎসা ও জরুরি সহায়তা পৌঁছে দেওয়াও কঠিন হয়ে উঠেছে ত্রাণকর্মীদের জন্য।

এদিকে, বর্তমানে আবহওয়া পরিস্থিতি রোহিঙ্গাদের প্রতিকূলে রয়েছে। প্রতিদিনের বৃষ্টিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে জমে যাচ্ছে পানি। সেই পানিই ব্যবহার করছেন অনেক শরণার্থী, যার ফলে কলেরার মত মারাত্মক পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে আইওএম।

রোহিঙ্গাদের জরুরি সহায়তার কাজে সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা ইন্টার সেক্টর কোঅর্ডিনেশন গ্রুপ (আইএসসিজি) জানিয়েছে, গত পাঁচ সপ্তাহে আসা রোহিঙ্গাদের প্রাথমিক চাহিদা মেটাতেই এখন প্রতিদিন অন্তত ৫ কোটি ৯০ লাখ লিটার নিরাপদ সুপেয় পানি আর ১৮ হাজার ল্যাট্রিন প্রয়োজন।  

কিন্তু সাহায্য সংস্থাগুলো এ পর্যন্ত ১ লাখ ৪১ হাজার শরণার্থীর জন্য সুপেয় পানি ও পয়নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে পেরেছে।

ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি